বিশেষ এক পোশাক ব্যবহার করে বলে দেওয়া যেতে পারে শরীরে লুকিয়ে থাকা রোগের কথা। এমনই দাবি করলেন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা এমআইটির একদল বিজ্ঞানী। কেমন হত, যদি বুঝে নেওয়া যেত প্রিয়জনের না বলা কথা? কেউ কেউ বলবেন, সহজ হয়ে যেত মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের পথ। মনের কথা না বলতে পারলেও এ বার বিশেষ এক পোশাক ব্যবহার করে বলে দেওয়া যেতে পারে শরীরে লুকিয়ে থাকা রোগের কথা। এমনই দাবি করলেন আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা এমআইটির কয়েক জন গবেষক রোডস আইল্যান্ড স্কুল অফ ডিজাইনের পোশাকশিল্পীদের সঙ্গে যৌথ ভাবে তৈরি করেছেন এক বিশেষ পোশাক। তাঁদের দাবি, এই পোশাক কাজ করবে অদৃশ্য মাইক্রোফোনের মতো। রেকর্ড করবে শরীরের ভিতরের বিভিন্ন ধরনের শব্দ। ঠিক যে ভাবে কান শব্দ শুনে বুঝতে পারে, কোনটি কিসের আওয়াজ, এই পোশাকও কিছুটা সে ভাবেই কাজ করবে। শুধু শরীরের ভিতরেরই নয়, চারপাশের বিভিন্ন আওয়াজও ধরা পড়বে এই পোশাকে।
পোশাকটি তৈরিতে এক বিশেষ ধরনের ফাইবার ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফাইবার ‘পাইজোইলেকট্রিক’ উপাদান দিয়ে তৈরি। এই উপাদান শব্দের ফলে সৃষ্ট কম্পনকে বৈদ্যুতিক সঙ্কেতে রূপান্তরিত করতে পারে। শুধু বিভিন্ন ধরনের শব্দ চিহ্নিত করাই নয়, বিজ্ঞানীদের দাবি, এই তন্তু ব্যবহার করে খুঁজে বার করা যেতে পারে শব্দের উৎসও। বিজ্ঞানীদের আশা, ভবিষ্যতে এই বিশেষ সুতোয় তৈরি পোশাক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে খুলে দিতে পারে নতুন দিক।
মাছ ধরতে গিয়ে বিপাকে যুবক, পানি থেকে উঠে এলো দানব আকৃতির প্রাণী উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, কোনও ব্যক্তি যদি হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় ভোগেন, তবে এই পোশাকে ধরা পড়ে যাবে হৃদ্স্পন্দনের গোলমাল। ফলে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসা করতে পারবেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি, শ্রবণে অক্ষম ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতেও কাজে আসতে পারে এই পোশাক। তাই এই গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান গবেষকেরা।