জা’পানিজ-বাংলাদেশি এক দম্পতির দুই সন্তানকে নিজের কাছে রাখার আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই তাদের উ’দ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হেফাজতে রেখেছে পু’লিশের অ’প’রাধ ত’দন্ত বিভাগ-সিআইডি।
সন্তানের বাবা ইম’রান শরীফের স্বজনদের দাবি, আ’দালতের নির্দেশ অমান্য করে পু’লিশ শি’শু দুটিকে নিয়ে গেছে। সিআইডি বলছে, দুই সন্তানকে তাদের বাবা আ’দালতে হাজির না করে আত্মগো’পনে যাওয়ার তথ্য ছিল তাদের কাছে।
জা’পানি নাগরিক নাকানো এরিকোর দুই শি’শু কন্যাকে উ’দ্ধার করেছে পু’লিশের অ’প’রাধ ত’দন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই জা’পানি নারীর দুই কন্যা সন্তানকে উ’দ্ধার করা হয় বলে সিআইডির অ’তিরিক্ত একজন পু’লিশ সুপার জানান।
গত বৃহস্পতিবার আইনজীবীর মাধ্যমে এই দুই শি’শুকে ফিরে পেতে জা’পানি ওই মা হাই’কোর্টে রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনে তিনি বাংলাদেশি-আ’মেরিকান স্বামীর কাছ থেকে সন্তানদের নিজের জিম্মায় পাওয়ার নির্দেশনা চান।সেদিন জা’পানি ওই নারীর রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভা’র্চুয়াল বেঞ্চ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্বামী শরীফ ইম’রানের তত্ত্বাবধানে থাকা তার ১০ ও ১১ বছর বয়সী দুই মে’য়েকে হাজির করার নির্দেশ দেন।
শি’শু দুটিকে নিয়ে শরীফ ইম’রান ও তার বোন আমিনা জেবিনকে ৩১ আগস্ট তাদের নিয়ে হাজির হতে বলেন আ’দালত। সেইসঙ্গে শরীফ ইম’রান যাতে দুই মে’য়েকে নিয়ে দেশত্যাগ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বলেন আ’দালত। আ’দালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্ম’দ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমা’র।
রিট আবেদনের তথ্য মতে, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জা’পানি আইন অনুযায়ী জা’পানি নাগরিক নাকানো এরিকো (৪৬) ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আ’মেরিকার নাগরিক শরীফ ইম’রান (৫৮) বিয়ে করেন। এরপর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। এক যুগের দাম্পত্যজীবনে তারা তিন সন্তানের জন্ম দেন। তিন সন্তানই মে’য়ে। তাদের বয়স যথাক্রমে ১১, ১০ ও ৭ বছর।
গত ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন নাকানো এরিকো। গত ৯ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইম’রান মে’য়েদের জন্য নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেন। সে আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করার পর গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মে’য়েকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন ইম’রান।
রিট আবেদনে বলা হয়, করো’না পরিস্থিতির কারণে এরিকো এত দিন বাংলাদেশ আসতে পারেননি। পরে গত ১৮ জুলাই শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন তিনি। যদিও শ্রীলঙ্কা বিমানবন্দরে থাকার সময়ই শরীফ এরিকোকে ফিরে যেতে বলেন।পরে গত গত ২৭ জুলাই মোবাইলের জিপিএস বন্ধ করে এবং এরিকোর চোখ বেঁধে স্বামী শরীফ ইম’রান তাকে অ’জ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় মে’য়েদের সঙ্গে দেখা করানোর জন্য। শরীফ ইম’রান আর কখনো মে’য়েদের সঙ্গে এরিকোকে দেখা করাতে চান না এবং মে’য়েরা কোথায় আছে সেটিও জানাতে চান না। যে কারণে মে’য়েদের অ’ভিভাবকত্ব চেয়ে চেয়ে রিট আবেদনটি করেন।