হাতের রেখা অনেক কথা বলে। জ্যোতিষে যদি বিশ্বাস থাকে তবে দেখে নিন আপনার দুই হাত জোড়া করলে যে অর্ধচন্দ্র তৈরি হচ্ছে, সেটি কেমন।
দুই হাত মিলিয়ে অর্ধচন্দ্র সকলেরই হয়। কিন্তু, সবার সমান হয় না। হস্তরেখা দেখে ভাগ্য জানা যায়। জ্যোতিষে বিশ্বাস থাকুক আর না থাকুক এটা মানতেই হবে যে ভারতে হস্তরেখা বিশ্লেষণ একটা প্রাচীন পদ্ধতি। বিশ্বাস মতে, আপনার বিবাহ থেকে চাকরি, ব্যবসা সবই লেখা আছে আপনার হাতের তালুতে।
এবার আপনার নিজের হাত নিজে দেখে নিন। দুই হাতের তালু পাশাপাশি রাখুন। দেখুন দুই হাতেই কনিষ্ঠ আঙুলের ঠিক নীচ থেকে একটি করে রেখে তর্জনির দিকে এগিয়ে গিয়েছে এবং রেখাটি মধ্যমা ও তর্জনির মধ্যবর্তী জায়গায় কিছুটা উপরের দিকে উঠে গিয়েছে। এবার পাশপাশি দু’টি হাতের তালু রেখে দেখুন একটি অর্ধচন্দ্র তৈরি হয়েছে।
সৌভাগ্যের অর্ধচন্দ্র।সকলেরই কমবেশি অর্ধচন্দ্র তৈরি হবে কিন্তু সেটি ঠিক কেমন হয়েছে তার উপরে নির্ভর করছে আপনার চা’রিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আর তার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ভাগ্য।
জ্যোতিষ মতে, এই রেখাটিকে বলা হার্ট-লাইন বা হৃদয়-রেখা। যদি দেখা যায়, আপনার দুই হাত মিলিয়ে একটি সুন্দর অর্ধচন্দ্র রেখা তৈরি হয়েছে তবে মনে রাখবেন আপনি অত্যন্ত কঠোর মনের মানুষ। আপনার ভাগ্য আপনি নিজেই গড়ে নেন। কর্মক্ষেত্র আপনি সাফল্য পান। আপনার মধ্যে নেতৃত্বের গুণ আছে।
তবে মনে রাখবেন সকলের হাতেই এমন অর্ধচন্দ্র তৈরি হয় না। অনেকের ক্ষেত্রে দু’টি রেখা মিলিয়ে প্রায় সরলরেখার কাছাকাছি চেহারা নেয়। এমন যাদের হৃদয় রেখা, তাঁরা খুবই হৃদয়বান হন। সহজ, সরল জীবন পছন্দ করেন। কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলে অপরের উপরে নির্ভর করেন।
এই বিচার অনুসারে বোঝা যায়, একজন মানুষের হৃদয় কেমন। দুই হাতের হৃদয় রেখার মিলন যত বেশি অর্ধচন্দ্রাকৃতি সেই মানুষ তত কঠোর মানসিকতার। আর যত বেশি সরলরেখার কাছাকাছি ততবেশি নরম হৃদয়ের মানুষ। আর হৃদয়ই তো মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তৈরি করে। আর সেই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুসারেই তৈরি হয় কাজের জগৎ, সাংসারিক ক্ষেত্রের সাফল্য, ব্যর্থতা।