হোটেলে নোবেলের সঙ্গে রাত কাটানো সেই নারীর পরিচয় জানালেন স্ত্রী

মাইনুল আহসান নোবেল। ভারতের জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়ের সূত্রে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করেন এই সঙ্গীতশিল্পী। বিতর্কিত কাণ্ডের জেরে নোবেলের সঙ্গে থাকেন না তার স্ত্রী। অথচ, নোবেল ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক নারীকে নিয়ে।

বুধবার বান্দরবানে ভ্রমণে আসেন নোবেল। সেদিন বান্দরবান সদরের ৩ নম্বর এলাকার থানচি স্টেশনের পাশে আবাসিক হোটেল গার্ডেন সিটিতে ওঠেন। তার সঙ্গে ছিলেন জবা নামের এক নারী। নোবেল সঙ্গে থাকা নারীকে প্রথমদিন স্ত্রী পরিচয় দিলেও দ্বিতীয় দিন তাকে বোন বলে দিয়েছেন বলেও জানান হোটেলের মালিক।

ওই নারীর সঙ্গে নোবেল বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় নেশা করে ঘুরে বেড়ান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গার্ডেন সিটি হোটেলে রাত ১২টায় মদ পান করে হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে এসে ওই নারীকে নিয়ে চিৎকার ও চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। এ সময় হোটেলের এক বর্ডারকে লাঞ্ছিত করেন নোবেল।

গুঞ্জন আছে, পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়েছেন বিতর্কিত এই গায়ক। নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ জানান, ‘এই মেয়েটির নাম জেবা। সে একজন এয়ার হোস্টেস। চাকরির আড়ালে মেয়েটা বিভিন্ন স্থানে মাদক আনা-নেয়া করে। নোবেল-জেবা দুজনেই মাদকাসক্ত। তারা একসঙ্গে মাদক সেবন করে। এর আগেও মেয়েটির সঙ্গে তোলা ছবি নোবেল আপলোড করেছিল।

নোবেলের সঙ্গে নিজের দাম্পত্যের বিষয়ে সালসাবিল বলেন, ‘আমরা বিবাহিত কিন্তু একসঙ্গে থাকি না। মাদক সেবন, নারীঘটিত কারণেই মূলত নোবেলের সঙ্গে থাকি না। একের পর এক এরকম ঘটনা হলে একজন মানুষের সঙ্গে থাকা যায় না। মাদক বা নারীর প্রতি নোবেলের আসক্তি যে পর্যায়ে গেছে তা এখন আর কারো অজানা নয়। সবকিছু সবার সামনেই ঘটছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলকে বিয়ে করেন নোবেল। চলতি বছরের ২৮ জুন নোবেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন।’ কিন্তু স্ট্যাটাস দেয়ার দুই দিন পর অর্থাৎ ৩০ জুন নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল জানিয়েছেন, তিনি সন্তানসম্ভবা নন। সে সময় এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা হয়েছে।

About reviewbd

Check Also

মাকে খুঁজছে মিরপুরে বেঁচে যাওয়া সেই ৭ মাসের শিশু হোসাইন

মিরপুরের পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন বাবা-মা। ভাগ্যক্রমে ছেলে হোসাইন ফিরে আসলেও বেঁচে নেই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *