কোন বয়সে বিয়ে করবেন, সঠিক বয়স কোনটি তা নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। অনেকেই বলবেন বিয়ে এবং সম্পর্ক আসলে কি তা বুঝে তবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা উচিত। আর এই সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ও জড়িত থাকে বলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত অনেকেই বিয়ের কথা ভাবেন না।
কিন্তু সত্যি বলতে কি, দ্রুত বিয়ে করে ফেলার সিদ্ধান্ত কিন্তু বেশ ভালো বুদ্ধিমানের মতো কাজ। বয়স একটু কম থাকলেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা উচিত, এতে জীবনটা অনেক বেশিই সহজ মনে হবে আপনার কাছে। অনেক ধরণের সমস্যা থেকে অনায়াসেই মুক্ত থাকতে পারবেন। কীভাবে জানতে চান? পড়ুন-
১) আপনি যদি বয়স ৩০ পার করে বিয়ে করেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্ক খুব বেশি মধুর ও ঘনিষ্ঠ হবে না। ব্যাপারটি বরং এমন হবে বিয়ে করার কথা তাই বিয়ে করেছি। এ কারণে আগেই বিয়ে করে ফেলা ভাল, যখন আবেগ কাজ করে অনেক।
২) বেশি বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জন্য কতটা সময় পান? বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সন্তানের দায়িত্ব ঘাড়ের উপর এসে পড়ে। আর একবার সন্তান হয়ে গেলে দুজনের একান্ত সময় কাটানো আর হয়ে উঠে না। কিন্তু অল্প বয়সেই বিয়ে করে ফেললে সঙ্গীর সঙ্গে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। এতে সম্পর্ক অনেক ভাল ও মধুর থাকে।
৩) ‘একজনের চেয়ে দুজন ভাল’ -বিষয়টি নিশ্চয়ই না বোঝার কথা নয়। একাই সুখ দুঃখ ভোগ করার চেয়ে দুজনে ভাগাভাগি করে নিলে অনেকটা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। অল্প বয়সেই বিয়ে করলে দুজনের জীবনের সবকিছুই ভাগ করে নেওয়া যায় বলে মানসিক চাপটাও কম পড়ে।
৪) সন্তানের জন্য খুব ভালো মাতা-পিতার উদাহরণ হতে পারবেন যদি বিয়ে আগে করে ফেলেন। সত্যি বিষয়টি কেউ মানুন আর নাই মানুন না কেন মানুষের গড় আয়ু কিন্তু কমে এসেছে। আপনি দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান মানুষ করার বিষয়টিও পিছিয়ে যাবে এবং আপনার মানিসকতাও কিন্তু দিনকে দিন নষ্ট হতে থাকবে।
৫) দুর্ঘটনাবশত অনেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত ঠিক নিতে পারেন না। তাই এখন ডিভোর্সের সংখ্যাও বাড়ছে। জলদি বিয়ে করার কিন্তু এই দিক থেকেও সুবিধা রয়েছে। যদি অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে অল্পেতেই ভেঙে যায় তাহলে জীবনটাকে নতুন করে গুছিয়ে নেওয়ার দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া যায় যা দেরিতে বিয়ে করলে পাওয়া সম্ভব হয় না।
৬) এগুলো তো গেল সিরিয়াস বিষয়, এখন শুনুন আগে ভাগে বিয়ে করে ফেলার একটু অন্যরকম সুবিধাগুলো। আগে বিয়ে করে ফেললে আপনার কাছে এসে কেউ ‘কেন বিয়ে করছ না’, ‘কবে বিয়ে করবে’, ‘বয়স বেড়ে যাচ্ছে’, ‘কাউকে পছন্দ আগে কি’ ইত্যাদি ধরণের বিরক্তিকর কথা শোনার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।