দেশে নিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের ঘাটতির কথা উল্লেখ করে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপি’র মহাসচিব ইমদাদুল হক বলেছেন, যে সময় দেশে দুটি আইএসপি ছিল সেই সময় থেকে আমি এ সেবায় যুক্ত।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আমাদের সবসময় নির্দেশ দিয়েছেন যে যখনই ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হবে তা যেন নিরাপদ এবং সুরক্ষা বজায় রেখে প্রদান করা হয়। তিনি দুঃখের সাথে বলেন আজ পর্যন্ত কোনো অভিভাবক বা গ্রাহক আমাদেরকে নিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের অনুরোধ করেন নাই।
ইন্টারনেট সেবাদাতা সংস্থা বলছে, প”র্নোগ্রা”ফি, টিকটক, ফ্রি-ফায়ার কিংবা পাবজির পেছনে চলে যাচ্ছে দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছেন ইমদাদুল হক।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত ২৬শ’ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের অর্ধেকই ব্যয় হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল গেম, টিকটক, লাইকি ও প”র্নোগ্রা”ফি দেখার পেছনে। ইমদাদুল হক বলেন, শতকরা ৫০ শতাংশ ইন্টারনেটই ব্যবহার হচ্ছে পর্নো, গেমিং বুলিংয়ে।
ফ্রি-ফায়ার-পাবজির পর, টিকটক-লাইকির মতো অ্যাপ বন্ধের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। এছাড়া নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য আইন করার কথাও ভাবা হচ্ছে। ফ্রি-ফায়ার ও পাবজির মতো অনলাইন গেইম কিশোর-তরুণদের আগ্রাসী করতে তুলছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ ওঠার পর সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ২০ হাজারের বেশি পর্নো সাইট আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী সুব্রত রয় মিত্র বলেন, ইন্টারনেটের অপব্যবহার করছে এ কথা সত্য তবে ইন্টারনেট এর অধিক ব্যবহারের কারণে বর্তমান করোনা মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে।
মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক ফ্রী ফায়ার পাবজি মধ্যে যে নির্দেশনা প্রদান করেছে তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। কিন্তু চাইলেই সবকিছু বন্ধ করা যায় না, কারণ ফেসবুক টিকটক লাইকি সহ অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের চুক্তি নেই।
তারপরও আমরা তাদেরকে অনুরোধ করার পর তারা অনেক সাইট বন্ধ করে দিয়েছে। যেমন আল-জাজিরা টেলিভিশন এর সেনাবাহিনীর প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যে অপপ্রচার করা হয়েছিল তা আমাদের অনুরোধ এই তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি ৩৬ লাখ। আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন এক কোটি গ্রাহক।