শেরপুরের নকলায় ১৫ লাখ টাকা কাবিনে দ্বিতীয় বিয়ের ২৩ দিনের মাথায় পু”রুষা”ঙ্গ ক্ষ”তবি”ক্ষত অবস্থায় আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ভ্যানচালকের লা”শ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরের সিলিংয়ে ঝু”ল”ন্ত অবস্থায় তার লা”শ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় তার পু”রুষা”ঙ্গ দিয়ে র”ক্ত ঝরছিল।
নি”হত আব্দুর রাজ্জাক ওই উপজেলার ২ নম্বর নকলা ইউনিয়নের বাঁশকান্দি গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে। নি”হ”তের ছোট মেয়ের জামাই এমদাদ জানান, লা”শ উদ্ধারের সময় তার শ্বশুরের পু”রুষা”ঙ্গে অসংখ্য সু”চ ফো”টানো”র চিহ্ন এবং ক্ষ”ত ছিল। পু”রুষা”ঙ্গ দিয়ে র”ক্ত ঝরছিল।
হ”ত্যার পর লা”শে”র গলায় ওড়না পেঁ”চিয়ে ঝু”লিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, এ ঘটনায় রাত পৌনে ১২টায় নিহতের প্রথম স্ত্রী সুর্জি বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী ময়না বেগম পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে সুর্জি বেগম বলেন, ২৮ বছর আগে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ওই সংসারে রাজিয়া আক্তার মৌসুমী ও রাবিয়া জাহানা রুমা নামে দুই মেয়ে রয়েছে। এরই মধ্যে তাদের বিয়ে হয়েছে। ময়না বেগম অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির একজন মহিলা। সে আব্দুর রাজ্জাককে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও প্র”তারণার মাধ্যমে ২৩ দিন আগে ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে।
বিয়ের পর থেকে রাজ্জাকের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও মানসিকভাবে নি”র্যা”তন করতো ময়না। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়না বেগম এর আগেও প্র”তা”রণার মাধ্যমে একাধিক বিয়ে করেছে।
নকলা থানার ওসি মুশফিকুর রহমান জানান, জিডির ভিত্তিতে আব্দুর রাজ্জাকের লা”শ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া নি”হতের দ্বিতীয় স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখন সব বিষয় যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।