প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপরাধীকে ধরলেন পুলিশের এসআই!

অঙ্গদ মেহতা নামের প্রতারককে ধরতে প্রেমের ফাঁদ পেতেছিলেন এক নারী উপপরিদর্শক (এসআই)। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ভারতের লখনউ, আহমেদাবাদ, হায়দরাবাদ ও পোর্ট ব্লেয়ারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, আগস্টে কলকাতার গড়িয়াহাটের একটি দোকানে ভুয়া পরিচয়ে স্বর্ণের অর্ডার দেন অঙ্গদ।

১ লাখ ৯০ হাজার টাকার ওই স্বর্ণ একটি গেস্ট হাউজে ডেলিভারি নেওয়ার কথা জানান তিনি। সেই অনুযায়ী স্বর্ণের দোকানের কর্মীরা গয়না নিয়ে গেস্ট হাউসে পৌঁছান। স্ত্রীকে গয়না দেখানোর নাম করে পুরো গয়নার বক্স নিয়েই পালিয়ে যান অঙ্গদ।

ওই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। সেই তদন্তের দায়িত্ব পান কলকাতা পুলিশের এসআই দিশা মুখোপাধ্যায়। তিনি পায়েল শর্মা নামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে অঙ্গদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পায়েলের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতার মিলেনিয়াম পার্কে আসেন অঙ্গদ মেহতা। সেখানেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কিন্তু কে এই মেহতা? আসল নাম কী? জিজ্ঞাসাবাদের পর সে জানায়, ২০১৮ সালে হায়দরাবাদের চঞ্চলগুড়া সংশোধনাগারে তিন বছরের জেল হয় তার। তার আগে আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারেও কিছুদিন কারাবাসের সৌভাগ্য হয় তার। কিন্তু অঙ্গদ মেহতা নামে নয়। তদন্ত চলাকালীন বিধাননগর ইস্ট থানার সাহায্যে সল্ট লেকের একটি রেস্ট হাউজে হানা দেয় কলকাতা পুলিশ,

যেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় হর্ষ ওবেরয় এবং অঙ্গদ মেহতার নামে দুটি ভোটার আইডি কার্ড ও সার্থক রাও বাবরস-এর নামে একটি আধার কার্ড, এবং প্রতিটি পরিচয়পত্রেই একই ছবি, যা কিনা ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে মিলে যায়। অর্থাৎ যিনি সার্থক রাও, তিনিই হর্ষ ওবেরয়, তিনিই অঙ্গদ মেহতা। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি পরিচয়পত্রই ভুয়ো বলে মনে করা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, কখনও হর্ষ ওবেরয়, কখনও অঙ্গদ মেহতা আবার কখনও সার্থক রাও বাবরস নামে দেশজুড়ে প্রতারণা চালাতেন ওই ব্যক্তি। এ জন্য একাধিকবার জেলও খেটেছেন তিনি। বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে ভুয়া পরিচয়ে কক্ষ ভাড়া নিয়ে টাকা না শোধ করেই পালাতেন।

About reviewbd

Check Also

মাকে খুঁজছে মিরপুরে বেঁচে যাওয়া সেই ৭ মাসের শিশু হোসাইন

মিরপুরের পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন বাবা-মা। ভাগ্যক্রমে ছেলে হোসাইন ফিরে আসলেও বেঁচে নেই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *