আব্দুল মাজেদ। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে কবিরাজি চিকিৎসা করেন। চিকিৎসা জীবনে উপার্জিত আয়ের একটি অংশ নিজ ঘরের বাক্সে জমা রাখতেন। সেখানে প্রায় কোটি টাকার মতো জমা হয়েছে। সম্প্রতি তার জমানো সেই টাকা নিয়ে গেছে দুর্বত্তরা। এমনই অভিযোগ তুলেছেন কবিরাজ আব্দুল মাজেদ।
আব্দুল মাজেদের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের সাহাপুর জংলিপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম ওসমান আলী। টাকা হারানোর শোকে তিনি বিলাপ করছেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল মাজেদ একজন গ্রাম্য কবিরাজ। তিনি সাংসারিক দ্ব;ন্দ্ব, স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য, ঝা;ড়;ফুঁ;ক, তাবিজ ও পানি পড়া দিতেন। তার বেশিরভাগ রোগীই ছিল দরিদ্র বা অতিদরিদ্র শ্রেণির। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসতেন। অনেকে সুস্থ না হয়ে আবারো আসতেন। এভাবে তার প্রতারণা চলছিল। অপচিকিৎসা ও প্রতারণার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করা হয়েছে।
আব্দুল মাজেদ দুদিন আগে স্ত্রীকে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়েছিলেন। বাড়িতে তার বৃদ্ধা মা ও ছেলে শাফি ছিলেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি বাড়ি এসে দেখেন বাক্সটি তছনছ। তার টাকা হারানোর বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
কবিরাজ আব্দুল মাজেদ বলেন, ৩৫ বছর ধরে কবিরাজি করে উপার্জিত টাকার একটি অংশ শোয়ার ঘরে কাঠের বাক্সে জমা রেখেছি। সেখানে প্রায় ৮০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মতো জমা হয়েছিল। গত সপ্তাহেও টাকা দেখেছি। লেখাপড়া না জানায় টাকাগুলো ব্যাংকে জমা রাখিনি। বাড়িতে কেউ না থাকায় সোমবার রাতে টাকাগুলো চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মান্দা থানার এসআই হাসান আলী বলেন, কখন কীভাবে টাকা হারিয়েছে তা সঠিক বলতে পারছেন না আব্দুল মাজেদ। তার কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, তার বাড়িতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। বাক্সটি তার ঘরেই ছিল। কোনো ধরনের ভাঙাচোরা দেখা যায়নি। বিষয়টি দেখে সন্দেহ মনে হচ্ছে। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।