ভারতের আসামে গিরিজানন্দ চৌধুরী ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেসে (জিআইপিএস) বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শর্টস পরে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ১৯ বছরের তরুণী জুবিলি তামুলী। এই পোশাকের জন্য তাকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেষপর্যন্ত পর্দা দিয়ে পা ঢেকেই তবে তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জুবিলি তামুলী পরীক্ষা দিতে আসামের তেজপুর শহরে আসেন। তার পরনে ছিল শর্টস। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় সেখানে তাকে পরীক্ষকের বাধার মুখে পড়তে হয়। তাকে জানানো হয় তিনি এই পোশাকে পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
তাকে বলা হয় পরীক্ষায় বসতে হলে পা ঢাকা প্যান্ট পরে আসতে হবে। জুবিলি বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি দিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু যে ঘরে পরীক্ষা পড়েছিল সেই ঘরে ঢুকতে গেলে বাধা দেন পরীক্ষক।
জুবিলি বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে কোথাও বলা নেই শর্টস পরে পরীক্ষায় বসা যাবে না। এমনকি অ্যাডমিট কার্ডেও সে কথা নেই। কীভাবে জানব শর্টস পরলে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে না। এতে তিনি প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তাতে কিছু হয়নি। পরে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসেন ওই ছাত্রী।
বিষয়টি তার বাবাকে জানান। জুবিলি বলেন, বাবা তখনই পোশাকের দোকানে ছুটে যান। তিনি ফিরে আসতেই তাকে বলা হয় সমস্যা সমাধান হয়েছে। তিনি জানান, পরীক্ষা কন্ট্রোলারের পদক্ষেপে তাকে একটা পর্দা দেওয়া হয়। সেটা দিয়ে পা ঢেকে পরীক্ষা দেন তিনি। জুবিলি জানান এটা তার জীবনের সবচেয়ে অপমানজনক অভিজ্ঞতা।