মাত্র পাঁচদিন পরই দেশে ফেরার কথা ছিল ৩২ বছর বয়সী সোহেল সিকদারের। কেটেছিলেন বিমানের টিকিটও। কিন্তু এর আগেই শেষ বিদায় হলো তার।স্বামী ফিরলেও আর মধুর ডাক শুনবেন না স্ত্রী। বাবার কোলে উঠবে না ছোট্ট দুই সন্তানও। জীবন নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও সোহেল ফিরবেন বাক্সবন্দি লা”শ হয়ে।
রোববার বিকেলে সৌদি আরবের আল কাসিমে ফ্যাব্রিকেশনের বয়লার বিস্ফোরণে নিহত হন সোহেল। এতে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
সোহেলের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পাচ্চর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে। তার বাবার নাম রাজ্জাক সিকদার। সোহেলের ঘরে রয়েছে ছেলে আবদুল্লাহ ও এক বছরের মেয়ে জান্নাত।
এক বছর আগে জান্নাতের জন্ম হলেও দেখা হলো না সোহেলের। মেয়ের জন্মের পর এ প্রথম দেশে আসার কথা ছিল তার। ২৫ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট। অথচ শেষ কর্মদিবসেই হলো শেষ বিদায়। মেয়ে জান্নাত ও ছেলে আবদুল্লাহকে বুকে জড়িয়ে আহাজারি করছেন স্ত্রী রুবিনা। তার আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ-বাতাস।
সোহেলের স্ত্রী রুবিনা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, মেয়েটা ফোনে বাবা বাবা বলত। ছেলেটা বাবার কাছে কত কিছু আবদার করেছিল। বাবা এটা আনতে হবে, ওটা আনতে হবে। ওর বাবাও সব কিছু কিনছিল। মাত্র পাঁচদিন পরই বাড়িতে আসার কথা ছিল। কী থেকে কী হয়ে গেল বলেই আর্তনাদে ফেটে পড়েন তিনি।
সৌদি আরব থেকে মোবাইল ফোনে সোহেলের পরিচিত মো. শাহালম জানান, এ দুর্ঘটনায় সোহেল, লেবাননের মালিকসহ দুজন ও মিসরের একজন নিহত হন। বর্তমানে সোহেলের লা;শ সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে।