মানিকগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুবর্ণা ইসলাম রোদেলা নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে মানিকগঞ্জ এসকে সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সুর্বণা জেলা শহরের বেউথা এলাকার বশির উদ্দিন মোল্লার মেয়ে এবং ক্লাসে তার রোল নম্বর ছিল এক।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিন ধরে রোদেলার জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধও খেয়েছে। কিন্তু গত শনিবার দুপুরের দিকে মারাত্নকভাবে শ্বাসকষ্ট, গলা ও বুকে ব্যথা উঠে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে দ্রুত মুন্নু জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়ে। তার শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে গাবতলী এলাকায় সে অ্যাম্বুলেন্সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এসময় ইবনে সিনা হাসপাতালে তাৎক্ষণিক নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্নু জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। পরীক্ষার পর তার করোনা শনাক্ত হওয়া এবং খুবই সংকটাপন্ন অবস্থা হওয়ায় তাকে দ্রুত রাজধানীর কুর্মিটোলা বিশেষায়িত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
মানিকগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজী একেএম রাসেল বলেন, একজন ছাত্রী করোনায় আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রী করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে এসেছিল।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, মেয়েটি গত ১৫ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ স্কুলে গিয়েছিল। তখন তার শরীরে কোন সমস্যা ছিল না। গত তিনদিন ধরে তার জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। গত শনিবার দুপুরে তাকে মুন্নু হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে সে মারা যায়। সে করোনায় আক্রান্ত ছিল কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী করোনা পজিটিভ হওয়ায় ওই শ্রেণির পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে তার ৫৮ জন সহপাঠিকে করোনা পরীক্ষা করোনো হয়েছিল। তবে, কারও দেহে করোনা শনাক্ত না হওয়ায় এবং আক্রান্ত শিক্ষার্থী সুস্থ হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে ওই শ্রেণির পাঠদান পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।