গত সপ্তাহ তিনেক ধরে পর্যটকে মুখরিত ছিল গোলাপগঞ্জের চৌঘরী এলাকার কাশবন। প্রতিদিন শতশত মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে সেই কাশবনের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ছুটে আসতেন। গ্রামীণ জনপদে গড়ে এই কাশবন অল্পদিনেই হয়ে সৌন্দর্য পিপাসুদের কাছে একটি পর্যটন স্পট। তবে সেই স্পটের দীর্ঘস্থায়ীত্ব রক্ষা হলো না। অশ্লীলতা বন্ধের কথা বলে স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন সেই কাশবন। শুক্রবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে কাশবনে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেন।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় হাজারো মানুষের আগমন ঘটেছিল এই কাশবনে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে। তবে এদের মধ্যে কতিপয় গোষ্ঠী কাশবনের সৌন্দর্য দেখার নাম করে অশ্লীলতা ছড়াতে শুরুতে করেছেন। স্থানীয়দের দাবি, প্রতিনিয়ত কাশবনে বেড়াতে আসার আড়ালে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। যে কারণে স্থানীয় এলাকায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
শুধু তাই নয়, কাশবনে বেড়াতে আসা মানুষদের মধ্যে একাধিকবার ছোটখাটো সংঘর্ষ ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। সেজন্য স্থানীয়রা যেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার শঙ্কা করছেন। আর এসব দিক বিবেচনায় রেখে কাশবনে আগুন দিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
এদিকে, কাশবনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অনেকেই এর সমালোচনাও করছেন। তারা বলছেন, এটা কোন ভাবেই জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি। মানুষ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করে। আর তারা এর সৌন্দর্য জ্বালিয়ে দিয়েছে। আল্লাহর দেওয়া ফুলগুলো না জ্বালিয়ে মানুষের প্রবেশ বন্ধ করে দিলেও হতো।