রাজধানীর মিরপুর ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন শেফার সঙ্গে সাকিব খান নামের এক মোবাইল পার্টস বিক্রেতার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে তারা ২৭ জুন পালিয়ে বিয়ে করেন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর বাসা ভাড়া নিয়ে নতুন সংসার শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্বামীর কাছ থেকে মেয়েটিকে তার পরিবার নিয়ে যায়। স্ত্রীকে ফিরে পেতে মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই যুবক।
সাকিবের অভিযোগ, শেফার পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় সাকিবকে। সরল বিশ্বাসে তিনি স্ত্রীকে শ্বশুর-শাশুড়ির হাতে তুলে দেন। এরপর থেকে শেফাকে আর স্বামীর কাছে আসতে দিচ্ছে না পরিবার। স্ত্রীকে ফিরে ফেতে ২৩ সেপ্টেম্বর ডিএমপি কমিশনার ও মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সাকিব।
সাকিব গণমাধ্যমকে বলেন, শেফা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আমি এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করে মোবাইলের পার্টস বেচাকেনা করি। শেফার বাবা তার মেয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গেছে। এখন আমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য আমার শ্বশুর আমাকে চাপসহ হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে শেফার বাবা আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, সাকিব ফ্রট। আমার মেয়ে তাকে তালাক দেবে। সে সংসার করবে না।
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার এসআই মো: রিয়াজুল ইসলাম বিডি২৪লাইভকে বলেন, এক যুবক তার স্ত্রীকে ফিরে পেতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। শিগগিরই উভয়পক্ষকে নিয়ে বসব।