ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে এক তরুণীকে (১৭) ফিল্মি কায়দায় প্রাইভেটকারে উঠিয়ে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। সেই তরুণীকে অপহরণের দৃশ্য সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। এরপর সিসিটিভি ফুটেজের সেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। অপহরণ হওয়া ওই তরুণীকে ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সোমবার ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকায় কাউসার মিয়া (৩২) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সদর মডেল থানা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, অপহরণ হওয়া ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নে। সে ওই এলাকার একটি স্কুলের ১০ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন। ওই তরুণীর পরিবার জেলা শহরে বসবাস করেন। স্কুলে যাওয়া আসার সময় দীর্ঘদিন যাবত ওই তরুণীকে বিয়ে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল মৈন্দ গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন (২৫)। কিন্তু এতে ওই তরুণী রাজি হয়নি। এর মধ্যে করোনার মহামারীতে স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে। সম্প্রতি স্কুল পুনরায় খোলা হলে আবারও জসিম ওই কিশোরীকে বিয়ের জন্য উত্ত্যক্ত শুরু করে।
গত ৯ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে ওই তরুণী জেলা শহরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর একটি যুবক তার পিছু নেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর সামনে একটি প্রাইভেটকার তাকে গতিরোধ করলে পেছনে ধাক্কা দিয়ে ওই তরুণীকে প্রাইভেটকারটিতে উঠিয়ে করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়। একই দিন রাতে ওই তরুণী তার বাসায় নাম নিজেই ফিরে আসে।
এ সময় সে তার পরিবারকে জানায়, প্রাইভেটকারে করে অপহরণের পর সদর উপজেলার সুহিলপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেদিন রাতেই ওই তরুণীর মা সদর মডেল থানায় এসে ঘটনাটি জানিয়ে একটি অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনকে আটক করতে অভিযান চালায় সদর মডেল থানা পুলিশ।
রোববার রাতে অপহরণে জড়িত থাকায় জসিমের বড় ভাই কাউসার মিয়াকে আটক করে পুলিশ। সোমবার সকালে এই ঘটনায় ওই তরুণীর মায়ের করা একটি মামলা রুজু করে পুলিশ। এই বিষয়ে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সোহরাব আল হোসাইন জানান, অপহরণের ঘটনায় ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এর মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে তথ্য উদ্ধার করতে রিমান্ড আবেদন করা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে আমাদের কার্যক্রম চলছ।