শাকিব ভাইয়া একজন মাঝি আর আমি অভিজাত পরিবারের মেয়ে। না শহুরে অভিজাত পরিবারের মেয়ে হলে, হিসেবে মিলবে না। আমাদের পরিবারে পূর্বে জমিদারী ছিল। একসময়ে সেটা ক্ষয়ে গেলেও অভ্যেসে ক্ষয় ধরেনি। এখনও রক্তে জমিদারি বিষয়গুলো প্রবাহিত হয়। আমি আমি করে বলছি, আমি বলতে আসলে মালা। ‘মালা’ যে কি না গল্পের নায়িকা। মানে এই ছবি নিয়ে কথা বলতে বলতে চরিত্রের মধ্যেই ঢুকে পড়েছি- বলছিলেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরি।
টাঙ্গাইলের অধুনালুপ্ত একটি জমিদারের বংশধরের কন্যা মালা ও মাঝির রসায়নের গল্প গলুই। ‘গলুই’ নির্মাণ করছেন এস এ হক অলিক। এই ছবিতে শাকিবের নায়িকা পূজা চেরি।
কার সম্মুখস্থ সরু অংশকে গলুই বলে- বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন পূজা। বললেন, ‘বেশি বলা যাবে না, গল্পের বিষয়ে আর না। তাহলে চলচ্চিত্রের টুইস্ট নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা এখন ছবির অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলতে পারি, এই ধরেন প্রস্তুতি কেমন, অনুভূতি।’
পূজার কথার ধরন থেকে বললাম, এটা তো কমন হয়ে যায়? কমন হয়ে গেলেও উত্তরে মজা আছে জানিয়ে পূজা বলেন, ‘যেমন ধরেন, আমাকে যখন পরিচালক অলিক ভাইয়া দেখেন, তখন বললেন শাকিবের নায়িকা হতে হলে ওজন বাড়াতে হবে। তখন অবশ্য অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছিলাম। যার কারণে আমাকে এটাই বলেছিলেন ভাইয়া। হ্যাঁ, আমি তখন ৫০ কেজি ছিলাম। ওজন বাড়ানো শুরু করি, এখন আমার ৫৫ কেজি। এখন মনে হচ্ছে আমি ঠিক আছি। তার মানে এই না যে ওজন কমাবো না। এই ছবির শুটিং শেষ হলেই আবার ৫০ কেজিতে চলে আসবো।’
ব্যাপারটা যেন আমির খান এর দঙ্গল সিনেমার মতো। ওজন বাড়িয়ে আমির খান ফুলে উঠেছিলেন, “অবশ্য পূজা কেমন হয়েছেন সেটা না দেখে বলার উপায় নেই। তবে শাকিব খানের সঙ্গে মানাবে কি না, বয়সের পার্থক্য তো রয়েছে- এই প্রসঙ্গকে একদম উড়িয়ে দিলেন। বললেন, আসলে বয়সের সঙ্গে পার্থক্য থাকলে তো সিয়ামের সঙ্গে আমার অভিনয় করা হতো না, রোশানের সঙ্গে অভিনয় করা হতো না, নিরবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া হতো না। শাকিব ভাইয়ার সঙ্গে বয়স ডাজন’ট ম্যাটার।”
প্রসঙ্গ থেকে না বেরিয়ে সেটাকে আরো প্রস্বস্ত করলেন পূজা। বললেন, ‘শাকিব ভাইয়া এখনো বয়সকে ধরে রেখেছেন। এখনো তিনি যথেষ্ট ইয়াং দেখতে। সত্যি কথা বলতে কি, আমি কেন আমার পরের প্রজন্মের মেয়েরাও শাকিব খানের নায়িকা হতে পারবে। শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয়ের বিষয়ে আমার কোনো ভয়ডর কাজ কাজ করছে না বরং একটা সন্তুষ্টি কাজ করছে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন পূজা চেরি। সেখানে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা শুটিং চলবে। এরপরে ঢাকায় ফিরে আসবেন। টাঙ্গাইলের মহেড়া রাজবাড়িতে সম্ভবত শুটিং হবে বলে জানান পূজা। তবে তিনি সেটা অনুমান ও আবছা শোনা থেকেই বলেন।