হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অনৈতিক কাজের অভিযোগে দেবর-ভাবিকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নে ওই যুবককে তারই চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর ঘরে পেয়ে আটক করেন স্বজনরা। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ মিয়াকে জানালে তিনি তাদের আটক রাখার সিদ্ধান্ত দেন। এরপর স্থানীয় উৎসাহী জনতা তাদের দুজনকে রাতে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেছে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে তাদের আবার নির্যাতন করা হয়। দুপুরে তাদের শিকল দিয়ে বেঁধে রাস্তায় হাঁটানো হয়। রাস্তায় হাঁটানোর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এদিকে এ ঘটনায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে দোষারোপ করছেন।
ইউপি সদস্য বলছেন, আমি ঘটনা জানি না। ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের বেঁধে নির্যাতন করছে। অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূর স্বামী গোপনে আরেকটি বিয়ে করেছে। সেই বউকে ঘরে তুলতে ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন অভিযোগ তুলেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বলেন, বিষয়টি জানার পর দুপুরে তাদের উদ্ধার করে আমার অফিসে এনে যার যার পিতার জিম্মায় দিয়েছি। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আশরাফ বলেন, আমি বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। তবে আমাদের না জানিয়েছে কাজটি করা হয়েছে। যদি ভুক্তভোগী নারী মামলা দায়ের করে তাহলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে বুধবার সকাল পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি।