এই মহামারির সময় এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করা অনেকটাই কঠিন। তবে একটি ফ্যালকন ঈগল পাখিকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে উড়ে যেতে এত কিছু চিন্তা করতে হয়নি। সম্প্রতি একটি ফ্যালকন ঈগল পাখিকে বিজ্ঞানীরা ট্র্যাক করেছিলেন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্য়ে।
পরে বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান এটা দেখে ঐ ঈগল ৪২ দিনে প্রায় সোজাপথে উড়ে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিনল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছে। এই যাত্রাপথের মোট দূরত্ব প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার। আর ঈগলটি দিনে গড়ে উড়েছে ২৩০ কিলোমিটার করে। পুরো বিষয়টি দেখে তাজ্জব বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা পুরো পথেই ঈগলটির উপর নজর রেখেছিলেন। তার দেহে জিপিএস-সহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বসানো ছিল। তারা খেয়াল করেছেন ঈগলটি ওড়ার সময় ইউরোপের আকাশে বেশি সময় ধরে উড়েছে। তবে আফ্রিকায় থাকাকালীন অনেক ছোট দুরত্ব পাড়ি দিতে বেশি স্টপেজ নিয়েছে।
এর থেকেই বিজ্ঞানীরা বুঝেছেন, কীভাবে একটি নির্দিষ্ট প্রাণীর সর্বোচ্চ কর্মক্ষমতা নির্ধারণে বিভিন্ন আবহাওয়ার তাপমাত্রা একটি বড় ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি লেটেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং নামে এক সংস্থা তাদের টুইটার পেজে এই তথ্যটি শেয়ার করেছেন।
এরপরই সেটি ভাইরাল হয়। নেটিজেনরাও বিভিন্ন মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন টুইটটি। কেউ লিখেছেন, কোনো কোভিড পরীক্ষার দরকার নেই বা কোনো পাসপোর্ট, ভিসার প্রয়োজন নেই, এটাই হলো একটি পাখির জীবন।
আবার কেউ বলেছেন, আমরা অনুভব করতে পারছি একটি পাখির জীবন কতটা আনন্দময়। কেউ আবার বলেছেন, পাখিটি বুদ্ধিমান, সে সমুদ্রের উপর দিয়ে না উড়ে ডাঙার উপরেই বেশি সময় উড়েছে।
-ডেইলি বাংলাদেশ