পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, কুমিল্লায় মন্দিরে হামলার মাস্টারমাইন্ডকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যখন আনন্দের সঙ্গে দুর্গাপূজা উদযাপন করছিল, তখন দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নানা স্থান এবং প্রতিমা হামলার খবর প্রকাশিত হয়।
‘বাংলাদেশ সরকার দ্ব্যর্থহীনভাবে এইসব ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ভেতরে ও বাইরে থেকে প্রতিক্রিয়াগুলোকে গুরুত্ব সহকারে দেখেছে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসাবে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) বাহিনী দেশের ২২টি জেলায় মোতায়েন করা হয় সাধারণ মানুষকে সহায়তা করার জন্য’।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আইন প্রয়োগকারী এবং তদন্তকারী সংস্থার কাছে উপলব্ধ প্রযুক্তিগত উপায় অবলম্বন করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। তিনি সর্বপ্রকার উসকানিতে সংযম বজায় রাখতে এবং গুজব না ছড়াতে সবাইকে আহ্বান জানান।
তিনি সবাইকে যে কোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান। সরকারের সিনিয়র নেতারা বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা এবং ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতায় ৭১টি মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, কিছু নির্দিষ্ট স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে এই ধরনের পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালাচ্ছে। এটা দুঃখজনক যে, ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী চক্রগুলো এখনো সহিংসতা, বিদ্বেষ ও গোঁড়ামিকে উস্কে দিতে তাদের বিষাক্ত প্রচারণা এখনো জারি রেখেছে।
তারা দেশের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসবকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক এবং বহুত্ববাদী প্রশংসাপত্রকে ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে।