কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের হনুমানের মূর্তির হাত থেকে ইকবাল হোসেনের নিয়ে যাওয়া সেই গদাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশের একটি দল কুমিল্লা নগরীর দারোগাবাড়ি মাজারের পাশের চৌধুরী ভিলার প্রাচীরের ভেতর থেকে গদাটি উদ্ধার করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ইকবালের দেওয়া তথ্যে গদাটি উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনার দিন মণ্ডপের হনুমানের মূর্তির হাত থেকে গদাটি আনার পর কুমিল্লার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল সেটি দারোগাবাড়ি মাজারের পুকুরে ফেলে দেন। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত গদাটি পানিতে না ডুবলে সেটি তুলে এনে পাশের চৌধুরী ভিলার প্রাচীরের ভেতরে ছুড়ে ফেলেন তিনি। ইকবালকে নিয়ে অভিযানে গতকাল রবিবার রাতে ওই বাড়ির প্রাচীরের ভেতর থেকেই গদাটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের গদাটি রঙিন কাগজ ও রশি দিয়ে মোড়ানো ছিল। পুকুরে নিক্ষেপ করায় রঙিন কাগজ ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। উদ্ধার অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যজিৎ বড়ুয়া, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিমসহ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা চলাকালে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের ওই পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ পাওয়ার অভিযোগ উঠে।
ওই ঘটনার পর ঢাকা ও কুমিল্লা পুলিশের কয়েকটি দল তদন্তে নামে। তারা ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে। দীর্ঘ তদন্ত ও অনুসন্ধানের পর ইকবাল হোসেনের বিষয়ে নিশ্চিত হন তারা।
পরে এ ঘটনায় জড়িত প্রধান সন্দেহভাজন ইকবাল হোসেনকে (৩২) কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি দল গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গ্রেপ্তার করে।