নরম রোদের বিকেল ফুরিয়ে রাত নেমেছে শহরে। নিয়ন আলোয় ঝলমলে তিলোত্তমা ঢাকা। ঘড়ির টিকটিক শব্দে সময় গড়াচ্ছে। এর মাঝেই একটি পাঁচতারকা হোটেলে বসেছে জমকালো আয়োজন।
লাল আর সাদা রঙকে প্রাধান্য দিয়ে হোটেলের সাজসজ্জা চোখ ধাঁধানো। এক এক করে শোবিজ সংশ্লিষ্ট অনেকেই সেখানে হাজির হলেন। সবার চোখে-মুখে উচ্ছল হাসি আর আনন্দ।
যাকে ঘিরে এমন এলাহি কাণ্ড, তিনি ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা, সুদর্শনা পরীমণি। নামের মতোই যার রূপ, সেই পরীও ধরা দিলেন ড্রেস কোড মেন্টেইন করে। অর্থাৎ সাদা ও লাল রঙের মিশ্রণে নজরকাড়া এক পোশাক পরে হাজির হন তিনি।
রোববারের (২৪ অক্টোবর) এ আয়োজন ছিল পরীমণির জন্মদিন উপলক্ষে। দাওয়াতের কার্ডেই তিনি বলেছেন, ‘বিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে আমার কাছে এসো। এরপর সারাজীবন আমার সঙ্গে ওড়ো’। কথাটির বাস্তবায়নও দেখা গেল আয়োজনস্থলে। স্টেজ সাজানো হয় বিমানের ককপিটের আদলে। আর পরীমণি নিজেকে সজ্জিত করেন অনেকটা বিমানবালার মতো করে।
তার পরনে ছিল লাল রঙের শার্ট, মাথায় লাল-সাদার সমন্বয়ে টুপি; এছাড়া নিম্নাংশ আবৃত করেছেন সাদা রঙের একটি কাপড়ে, যেটা অনেকটা লুঙ্গির মতো দেখতে। কাছা দেয়ার ভঙ্গিমায় সেটা পরেছেন তিনি। এমন ব্যতিক্রমী পোশাকে পরীমণি নজর কেড়েছেন পার্টিতে আগত অতিথি ও নেটিজেনদের।
পরীমণি আগেই জানিয়েছিলেন, তার এবারের জন্মদিনে থাকবেন প্রকৃত কাছের মানুষেরা। সেই কাছের মানুষের তালিকায় ছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, তার নানা শামসুল হক গাজী এবং বিভিন্ন সংবাদকর্মীরা। সবাইকে নিয়ে নেচে-গেয়ে আনন্দ-উল্লাসে জন্মদিন উদযাপন করেছেন নায়িকা।
উল্লেখ্য, পরীমণির জন্ম পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার সিংহখালী গ্রামে নানার বাড়িতে। ছোটবেলায় মাকে হারানোর পর নানার কাছেই বেড়ে ওঠেন তিনি। ২০১১ সালে বিনোদন জগতে কাজের স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসেন। এরপর ২০১৫ সালে আত্মপ্রকাশ করেন সিনেমায়। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় তিন ডজন সিনেমায় অভিনয় করেছেন।