বিয়ের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে নানা রকম মনোমালিন্য হয়। তবে স্বামী তার স্ত্রীকে অন্য ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন এমন ঘটনাও প্রায় সময় উঠে আসে। এবার তেমনি এক ব্যক্তি বিয়ের মাত্র দুমাস পরেই তার স্ত্রীকে অন্য ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিলেন। আর এই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানে। জানা গেছে, ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে রাজস্থানে নিয়ে গিয়ে এক বৃদ্ধের কাছে বিক্রি করে দেন। এরপর তিনি সেই অর্থ দিয়ে ফোন কেনেন। এই ঘটনা সম্পর্কে এবার বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ পেল।
বিয়ের মাত্র দু’মাস পরেই নিজের স্ত্রীকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কিশোর ওড়িশার বোলঙ্গি জেলার বাসিন্দা।
ওই এলাকার পুলিশ জানায়, ১৭ বছরের ওই কিশোর মাত্র দুই মাস আগে ২৪ বছরের এক যুবতীকে বিয়ে করে। দুই পরিবারের মতে গো”প”নে এই বিয়ে হয়।
কিন্তু বিয়ের পরে আর্থিক সমস্যায় পড়ে ওই কিশোর। তখন রায়পুরে এক ইটভাটায় কাজ করতে যাবে বলে জানায় সে। কথা মতো নিজের স্ত্রীকে নিয়ে রওনা দেয়। কিন্তু রায়পুর যাওয়ার পরিবর্তে সে চলে আসে রাজস্থানে।
অভিযোগ, রাজস্থানে এক গ্রামে নিয়ে যায় নিজের স্ত্রীকে। সেখানে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় স্ত্রীকে বিক্রি করে দেয় ৫৫ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধের কাছে। পরে টাকা দিয়ে বাড়ি ঠিক করে ওই কিশোর। এমনকী নিজের জন্য দামী মোবাইল কেনে।
স্ত্রী অন্য কারোর সঙ্গে পালিয়েছে বলে বাড়ি ফিরে অভিযোগ করে সে। কিন্তু স্ত্রীর বাড়ির লোকজন সেটা বিশ্বাস করেনি। এরপরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ তদন্তে ওই নাবালকের স্ত্রীকে রাজস্থানে রেখে দেওয়ার বিষয়টি জানতে পারে। এরপরেই ওই গ্রামে যায় পুলিশ। কিন্তু সেখানে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়েন তারা।
ওই বৃদ্ধ কিছুতেই তরুণীকে ফেরত দিতে রাজি হচ্ছিল না। শেষে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।
সূত্র: আজতাক।
এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে ওই তরুণীর পরিবার থেকে মামলা করা হয়েছে। তবে তরুণীর স্বামী কিশোর হওয়ায় তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তরুণীকে বিক্রি করার ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তরুণী আর তার স্বামীর কাছে ফিরবেন না। যে ব্যক্তি অর্থের জন্য এমন কাজ করতে পারে সে পরবর্তিতে আরও অনেক বড় খারাপ কাজ করতে পারে বলছে তার পরিবার।