চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ গ্রামের দশমিপাড়ায় বিয়ে বাড়িতে মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সেই নববধূকে তালাক দিয়েছেন বর। রোববার (২৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমিপাড়ায় এ ঘটনার পর রাতেই দু’পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়।
বরের স্বজনরা জানান, বদরগঞ্জ দশমিপাড়ার রহিম আলীর ছেলে সবুজের সঙ্গে রবিবার একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুনের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বরপক্ষের লোকজনকে খেতে দেওয়া হয়।
বর সবুজের সঙ্গে খেতে বসেন তার বন্ধুসহ আত্মীয়-স্বজনরা। খাওয়া শেষ হওয়ার মুহূর্তে বরপক্ষের লোকজন আরও মাংস চান। কনেপক্ষের লোকজন দিতে না চাইলে উভয়পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে কনেপক্ষের লোকজন বরপক্ষের তিনজনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
এ ঘটনায় কনেপক্ষের লোকজনের অভিযোগ, বরপক্ষের লোকজন ভাত না খেয়ে শুধু মাংস খেতে থাকেন। বার বার মাংস চাওয়াতে তারা পরে দেবেন বলে জানালে বরপক্ষের লোকজন তাদের ওপর চড়াও হন। তারা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। যদিও এ ঘটনা নিয়ে কোনো থানা-পুলিশ হয়নি। জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকালে বরপক্ষের তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছে কনেপক্ষের লোকজন।
আহতরা হলেন, সদর উপজেলার সরোজগঞ্জের বোয়ালিয়া গ্রামের আলমগীর আলী ছেলে শাহা জামাল (২৮), একই এলাকার মৃত গোলাম রাব্বানীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫) ও আব্দুর রহিমের ছেলে আসমান আলী (৩৫)। আহতদের মধ্যে শাহা জামালকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই।