পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। হুমায়ন (২৮) নামে এক এক সন্তানের বিবাহিত যুবকের সঙ্গে গড়ে ওঠে তাদের প্রেম-ভালবাসার সম্পর্ক। প্রেমের জেরে হুয়ামন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নানা সময়ে স্কুলছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিতো। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্কে শারীরিক মেলা-মেশায় পৌঁছায়। এরপর থেকে নিয়মিতই ওই ছাত্রীকে বখাটে যুবক কুকর্ম করে আসতো। এ ঘটনা ঘটে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। হুয়ামন উপজেলার বিলচাপড়া গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে।
স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুনের বাড়ী বিলচাপড়া গ্রামের পাশেই ওই স্কুলছাত্রীর ফুফুর বাড়ী। আত্মীয়তার সম্পর্কের সূত্রে হুমায়ুন যাতায়াত করতো নিয়মিত। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন যুবক। এরই ধারাবাহিকতায় হুমায়ুন গত রবিবার (২৪ অক্টোবর) ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে আসতে বলে।
তার কথামতো মেয়েটি বাড়িতে রাখা গরু বিক্রির ১ লাখ টাকা নিয়ে হুমায়ুনের সঙ্গে পালিয়ে পাশ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের গৌরিশ্বর গ্রামের হুমায়ুনের এক আত্মীয় বাড়ি ওঠেন তারা। সেখানে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেয়। এলাকাবাসীর কাছে সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক রেখে ঘাটাইল থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে উভয়কে গত (বুধবার ২৭ অক্টোবর) ঘাটাইল থানা পুলিশ আটক করে।
স্কুল ছাত্রীর মা জানান, আমাদের কোনো ছেলে নেই, একটি মাত্র মেয়ে। ওই দিন আমাদের একটি ছাগল খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে ওর বাবা বাড়িতে না থাকায় আমি নিজেই ছাগল খুঁজতে বের হই। বাড়িতে এসে দেখি আমার মেয়েও নেই এবং ঘরে রাখা ১ লাখ টাকাও নেই। পরে মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় হুমায়ুনের প্রতি সন্দেহ হয়। হুমায়ুনের ফুফু এবং ফুফাকে টাকাসহ আমার মেয়েকে এনে দিতে বললে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই স্কুলছাত্রী ও যুবকবের ঘটনায় এলাকাবাসী সংবাদ দিলে ওই স্কুলছাত্রী ও ধর্ষক হুমায়ুনকে আটক করা হয়। পরে জিঙ্গাসাবাদে জানা যায় তারা স্বামী-স্ত্রী না। এ বিষয়ে ধর্ষণ ও নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) আসামিকে কোর্টে এবং ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।