বহুতল ভবনের ৩৩ তলায় কাজ করছিলেন দুই রংমিস্ত্রি। এমন সময় তারা যে দড়ি বেঁধে কাজ করছিলেন সেটি কেটে দেন এক নারী। ভবনের ২৭ তলায় ঝুলে ছিলেন ওই রংমিস্ত্রিরা। এরপর এক দম্পতির তাদের উদ্ধার করেন বলে পুলিশের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে এই ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ব্যাংককের উত্তরে পাক ক্রেট থানার প্রধান পুলিশ কর্নেল পংজাক প্রিচাকারুনপং জানান, হত্যাচেষ্টা আর সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কেন ওই নারী দড়ি কেটে দিয়েছিলেন সে ব্যাপারে কিছু বলেননি পংজাক।
থাইল্যান্ডের গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারী তার জানালার বাইরে রাজমিস্ত্রিদের কাজ করতে দেখে ভীষণ ক্ষেপে যান। কারণ অ্যাপার্টমেন্ট কর্তৃপক্ষ রং করার ব্যাপারে ওই নারীকে কিছু জানায়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ঘটনা সময়কার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই রংমিস্ত্রি ২৭ তলার বাসিন্দাদের জানালা খুলে তাদের ভেতরে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন।
ঘটনার শিকার এক রংমিস্ত্রি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, তারা তিনজন ৩৩ তলায় কাজ করছিলেন। ৩১ তলায় পৌঁছানোর পর তার শরীরে বাঁধা দড়িকে কিছুটা ভারি মনে হওয়ায় নিচে তাকিয়ে দেখেন ২২ তলার জানালা খুলে একজন তার দড়ি কেটে দিচ্ছেন। তবে তার কোমরের দড়ির অপর প্রান্ত আরেক মিস্ত্রির সঙ্গে বাধা থাকায় কোনো রকমে ঝুলে ছিলেন তিনি। পরে ২৭ তলায় গিয়ে এক দম্পতি তাদের জানালা গিয়ে অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে নিয়ে যান।
অবশ্য ৩৪ বছর বয়সী ওই নারী প্রথমে দড়ি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে দড়ি থেকে হাতের ছাপ, ডিএনএ আর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ফরেনসিক টিম ওই নারীকে সনাক্ত করার পর তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে রংমিস্ত্রিদের হত্যার উদ্দেশ ছিল না বলেও দাবি করেছেন ওই নারী।
অভিযুক্ত ওই নারীকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। হত্যাচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই নারীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।