দুই ঘণ্টা আগে জন্ম নেওয়া শিশুসন্তানকে বাড়ি রেখেই এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ফাতেমা আক্তার নামের এক কিশোরী। সে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার হাচিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় দীঘিনালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় ওই কিশোরী। সে দীঘিনালার কবাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মিলনপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে।
পারিবারিক ও পরীক্ষাকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত বছর করোনা মহামারিতে লকডাউন চলাকালে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সুমন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় ফাতেমার। বিয়ের পরও সে লেখাপড়া চালিয়ে যায়। রোববার (১৪ নভেম্বর) রাতে প্রসববেদনা শুরু হলে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় ওই পরীক্ষার্থীকে। সোমবার সকাল ৮টার দিকে স্বাভাবিকভাবে কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় ফাতেমা।
সন্তান জন্মের পৌনে এক ঘণ্টা পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় তাকে। এরপর নবজাতককে বাড়িতে রেখে দীঘিনালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ফাতেমা।
সন্তানকে বাড়ি রেখে পরীক্ষা দিতে আসার কথা জানিয়ে ফাতেমা আক্তার বলে, আমি স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা দিয়েছি। কোনো শারীরিক সমস্যা হয়নি।
ফাতেমা আক্তারের খালা সাজেদা বেগম বলেন, সকালের দিকে স্বাভাবিকভাবেই কন্যাসন্তানের মা হয় ফাতেমা। সকাল ৯টার দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে সন্তানকে বাড়ি রেখে আমাকে নিয়ে পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা দিতে তার কোনো সমস্যা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দীঘিনালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব অনুপ চন্দ্র দাশ বলেন, ফাতেমা আক্তার অন্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রের ৪ নম্বর হলে পরীক্ষা দিয়েছে। তবে সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টি ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।