শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নববধূর আত্মহত্যার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু স্ত্রী ও শ্যালকের হয়রানি সহ্য করতে না পেরে বিয়ের সাত দিনের মাথায় এক স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের বাবরি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ভুক্তভোগী ওই স্বামীর নাম প্রয়াস। মাত্র ২৩ বছর বয়সী এই যুবক উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার চুসনা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গত ১৪ নভেম্বর কোমল নামে এক নারীর সঙ্গে বিয়ে হয় তার।
বিয়ের পর থেকেই প্রতিদিনই অশান্তি লেগেছিল নতুন দাম্পত্য শুরু করা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এরপর গত শুক্রবার বিষপান করে আত্মহত্যা করেন প্রয়াস। কাকতালীয় ভাবে দিনটি ছিল আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস।
নিহত প্রয়াসের পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রী কোমল ও শ্যালক নিতিন কুমারের অত্যাচারের কারণে বিষপান করেন প্রয়াস। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মৃত যুবকের বোন সীমার অভিযোগ, মাত্র এক সপ্তাহ আগে বিয়ে হয়েছিল প্রয়াসের। তারপর থেকেই বউদি ও তার ভাই মিলে আমার দাদাকে উত্যক্ত করত। সবসময় অশান্তি করত। আমার দাদা আর সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। প্রয়াসের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
অবশ্য নবদম্পতির মধ্যে ঠিক কী নিয়ে বিবাদ হতো, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত প্রয়াসের বোন। এরপরই থেকেই অভিযুক্ত দু’জনই পলাতক রয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।