ভূমিকম্পের পর চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় একটি চারতলা ভবন পাশের পাঁচতলা ভবনের ওপর হেলে পড়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই দুই ভবনের বাসিন্দারা। অন্যদিকে চট্টগ্রামের খাজা রোডের সাবান ঘাটা এলাকায় হালিমা ভবন নামে ৪ তলা ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়ে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ওই ভবন পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কালুরঘাট স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বাহার উদ্দিন জানান, ‘খাজা রোডে পাশাপাশি দুটি ভবন একই মালিকের। এখানে একটি ভবনের সঙ্গে আরেকটি ভবন লেগে আছে। পরিদর্শন করে মনে হয়েছে একটি ভবনের সানসেট আরেকটি ভবনের ভেতরে ঢুকে গেছে। কিন্তু মালিকপক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে ভবন দুটি তৈরি করার সময় এভাবে করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মালিকপক্ষ দাবি করছে সিডিএতে এ ভবনের প্ল্যান এভাবেই পাস করানো হয়েছে। এখন সিডিএ এসে বলতে পারবে একটা ভবন আরেকটার উপর হেলে পড়েছে কি না। বিষয়টি সিডিএকে জানিয়েছি। তারা এসে বলতে পারবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ কি না।’ অন্যদিকে কাপাসগোলা এলাকায় রহমান ভিলা নামে একটি ভবন পাশের ফরিদ মিয়ার মালিকানাধীন পাঁচতলা ভবনে হেলে পড়েছে। ভবন দুটির তিন তলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অংশ একটির সঙ্গে আরেকটি লেগে আছে।
উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়।