মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া এক শিশু নিয়ে তিন নারীর কাড়াকাড়ির পর শিশুটিকে নেয়া হয় রেলওয়ে থানায়। তিন নারীই শিশুটির লালন পালনের দায়িত্ব নিতে চান। এ নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়।কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে শিশুটিকে রেলওয়ে থানায় নিয়ে গেলে থানার ওসি মো. ফেরদাউস আহম্মদ বিশ্বাস শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন এবং বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন।
নবজাতকটিকে প্রথমে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন কমলপুর নিউটাউন এলাকার শারমিন বেগম। তিনি জানান, রেলওয়ে স্টেশন কবরস্থানের পাশে এক পাগলি একটি বাচ্চা প্রসব করে। সেই বাচ্চাটি নেয়ার জন্য দুজন নারী টানাটানি করছিলেন তখনই আমি সেখানে যাই। যাওয়ার পর দুই নারীকে বলি তোমরা তো বাচ্চাটি নিয়ে বিক্রি করে দেবে। তোমরা আমাকে বাচ্চাটি দিয়ে দাও আমি নিয়ে লালন পালন করবো। তখন তাদের কাছ থেকে বাচ্চাটি নিয়ে রেলওয়ে পুলিশের কাছে যাই, পুলিশসহ বাচ্চাটি নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে বাচ্চাটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. দেবারতি দাস বলেন, রেলওয়ে স্টেশনের কবরের পাশ থেকে এক নারী নবজাতককে উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে এলে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করি। নবজাতক এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি মো. ফেরদাউস আহম্মদ বিশ্বাস জানান, শিশুটির জন্মের পর তার মা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী পালিয়ে যান। এ সময় অপর এক নারী শিশুটিকে দেখে কোলে নেন। তারপর আরও দুজন নারী এসে শিশুটিকে নিয়ে যেতে চান। তখন তাদের ঝগড়া দেখে পথচারীরা শিশুসহ তিন নারীকে রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় তাদের কথা শুনে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, ঘটনাটি রেলওয়ে থানার ওসি আমাকে অবগত করার পর শিশুটিকে হাসাপাতালে রাখতে নির্দেশ দিয়েছি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো ছোট নিবাসে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।