করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, এরইমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদেরও নতুন এই ধরনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
করোনার এই নতুন ধরনটি কেমন সেটা জানতে কারিগরি সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করছে ডব্লিউএইচও। করোনাভাইরাসের টিকাসহ যে চিকিৎসাব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে, তা দিয়ে নতুন এ ধরনের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখা যাবে কি না, সে বিষয়ে কাজ করছে বিশেষজ্ঞদের দল।
সংস্থাটি বলেছে, এটা এখনো পরিষ্কার নয়, করোনার নতুন এ ধরন আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিরা গুরুতর অসুস্থ হন কি না। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় সম্প্রতি হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সেখানে করোনার সার্বিক সংক্রমণ বাড়ছে।
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নেচারের প্রতিবেদন অনুসারে চলতি মাসের শুরুর দিকে আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়। এরপর সে ধরন ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ও হংকংয়ে। সম্প্রতি আরও কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এ ধরন পাওয়া গেছে।
ডব্লিউএইচও এ ধরনকে উদ্বেগজনক বলে আখ্যা দিয়েছে। এ ধরন শনাক্ত হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ডব্লিউএইচও। আফ্রিকার দেশগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করতে আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।