বরগুনার পাথরঘাটায় একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণিতে অধ্যায়নত ছাত্রীর জোরপূর্বক আপত্তিকর ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে ভিডিও শেয়ারিং এ্যাপ টিকটকে ছড়িয়ে দিয়েছে একই সহপাঠি নাঈম। এমনি অভিযোগে সহপাঠীর নামে মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুলছাত্র বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেছে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান বরগুনা থেকে জেলহাজতের মাধ্যমে যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আদলত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্কুল ছুটির পর কিশোরীর ব্যাগ নিয়ে আগেই বের হয়ে যায় ওই কিশোর। পরে সেটি আনতে গেলে কিশোরীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায়। এ সময় তার আরেক বন্ধু গোপনে মোবাইলে ভিডিও করে এ দৃশ্য।
পরে ওই ভিডিও ফেসবুক ও টিকটকে ছেড়ে দেয় তারা। টিকটকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
আরও জানা গেছে, অনেকদিন ধরে ওই বখাটে কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিশোরী রাজি না হওয়ায় জোর করে এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় সে রাস্তাঘাটে গতিরোধ করে উত্ত্যক্ত করত।