ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় চাচা ভাতিজির অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনা দামাচাপা দিতে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে রফাদফার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকার রুহুল আমিন এর ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (২০) এর সাথে প্রতিবেশী আঃ মালেকের ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ের দির্ঘদিনের প্রেমের সমপর্ক ছিল।
পাশাপাশি বাড়ী হওয়ার সুবাদে অভিযুক্ত চাচা প্রায়ই ঐ মেয়ের সাথে শয্যাশায়ী হতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ নভেম্বর সকালে মেয়ের দাদী ঘটনার টের পায়। পরে ঐ মেয়েকে গর্ভবতী বলে তাঁর স্বজেনেরা চাচার ঘরে তুলে দেন বলে স্থানীয়রা জানান।
এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। তদুপরি মেয়ে পক্ষের লোকজন ১লা ডিসেম্বর গত ২৪/১১/২১ ইং তারিখে তাদের মেয়ে বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়েছে উল্লেখ করে ফুলবাড়ীয়া থানায় মৌখিক অভিযোগ দায়ের করে ও পরে ৩ ডিসেম্বর তাঁদের মেয়েকে পাওয়া গেছে জানিয়ে অভোযোগ প্রত্যাহার করেন বলে ফুলবাড়ীয়া থানার এস আই জাহাঙ্গীর জানান।
স্থানীয়দের অভিযোগ চাচা ভাতিজির অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনায় শুরুতে মেয়েটি গর্ভবতী উল্লেখ করে ছেলের ঘরে তুলে দিলেও পরে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে সমাধান হওয়ার পর মেয়েটির পরিবার জানায় তাদের মেয়ে গর্ভবতী নন।
মেয়ের বাবা টাকা নেওয়ার বিষয় অস্বিকার করে বলেন,আমাকে তাঁরা কোনো টাকা দেয়নি, ছেলেটি সমপর্কে আমার চাচাতো ভাই হওয়ায় গোষ্ঠির লোকজন বিচার করেছে। মেয়ের বিয়ের সময় গোষ্ঠির সকলেই সহযোগীতা করবেন বলে আশ্বস্ত্য করে ঘটনাটি সমাধান করে দেন।
এ বিষয়ে জানতে ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন এর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।