ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠানোর পরেই দেশবাসী ও মা-বোনদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে ক্ষমা চান তিনি। তবে নিজের সেই স্ট্যাটাসে নিজিই কমেন্ট করে নিজের সাফাই গেছেছেন তিনি।
ফেসবুকে দেয়া ওই স্ট্যাটাসে মুরাদ বলেছেন, ‘আমি যদি কোন ভুল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিবো আজীবন। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’
আর সেই স্ট্যাটাসেই কমেন্টে মুরাদ লিখেছেন, ‘ভুল করে সবাই নিজের ভুল মেনে নেয়ার সততা দেখায় না। আল্লাহ আপনাকে সঠিকভাবে ফিরিয়ে আনুন সকলের মাঝে।’
এই কমেন্টটি তিনি কী বুঝে লিখেছেন কিংবা একাধিক অ্যাডমিন থাকার কারণে এমনটা হয়েছে কিনা- এসব ব্যাপারে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও জানা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রলও হচ্ছে।
এদিকে, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে ডা. মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে অব্যাহতিপত্র পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, নারীদের নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ায় ডা. মুরাদ হাসানকে একদিনের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে এ বার্তা পৌঁছে দেন সেতুমন্ত্রী।