সব মৌসুমে যেসব ফল পাওয়া যায় তারমধ্যে পেয়ারা অন্যতম। পেয়ারা যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি এর পুষ্টিগুণও রয়েছে। আবার পেয়ারায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই কম হওয়ার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না। এছাড়া হৃদরোগীদের জন্যও ভালো পেয়ারা। ওজন নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে পেয়ারা। পেয়রার গুণাবলী চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ওজন কমাতে:
ওজন কমানোর কথা আসলে অন্য সব ফলকে টেক্কা দিতে পারে পেয়ারা। পেয়ারায় আছে প্রোটিন এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার৷ এই দুই উপাদানই পরিপাক হতে অনেক সময় লাগে৷ ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং সহজে ক্ষুধাও লাগে না। পেয়ারার ফাইবার নিয়ন্ত্রণ করে মেটাবলিজম৷ বেশি পাকা না এমন পেয়ারায় প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ আপেল,কমলালেবু, আঙুরের তুলনায় কম।
পেয়ারা খেলে আপনার দৈনিক ফাইবার-প্রয়োজনের ১২ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়। এছাড়া পেটের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে পেয়ারা। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও পেয়ারা কার্যকর৷ পরিপাক ক্রিয়া সুস্থ হলে তার প্রভাব পড়ে ওজন নিয়ন্ত্রণেও৷
১০০ গ্রাম পেয়ারায় ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ৫২। তাই পেয়ারাকে বলা হয় ‘নেগেটিভ ক্যালরি ফুড’৷ তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল, পেয়ারায় যে পরিমাণ ক্যালরি আছে, তার থেকে বেশি ক্যালরি ঝরিয়ে ফেলে এই ফল৷তবে একটা বিষয় মনে রাখবেন যে, পাকা পেয়ারার চেয়ে কাঁচা পেয়ারা সবচেয়ে উপকারী।
পেয়ারায় থাকা রস ডায়াবেটিস চিকিৎসায় অনেক কার্যকর। ত্বকের যত্নেও পেয়ারা অনেক উপকারী। পেয়ারায় প্রচুর ভিটামিন সি, লাইকোপেন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে৷ ফলে আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে এই ফল। পেয়ারায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।