অল্প বয়সে আপনার শি’শুর বুদ্ধিমত্তা শাণিত করার দিকে নজর দিতে হবে। শিক্ষাবিদরা বহুবার সা’বধান ক’রেছেন, “শি’শুদের জবরদস্তি করে প্রতিভাবান করে গড়ে তোলার চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হয়। তাদের নানারকম সামাজিক এবং মা’নসিক স’মস্যা তৈরি হয়।”
কিন্তু আপনি যদি আপনার বুদ্ধিমান বাচ্চাকে কোনো চা’পের ভেতর না ফে’লে তার বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা ক’রতে চান, নীচে বর্ণিত কিছু পন্থা চেষ্টা ক’রতে পারেন: বাচ্চাকে জিনিয়াস হিসাবে গড়ে তুলতে চান? বিচিত্র অভিজ্ঞতায় শি’শুর বুদ্ধিমত্তা বিকশিত হয়।
১.শি’শুকে নানা ধ’রণের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মু’খোমুখি করুনঃ বুদ্ধিমান শি’শুদের উদ্বুদ্ধ রাখতে, আগ্রহী রাখতে তাদেরকে অভিনব সব অভিজ্ঞতার মু’খোমুখি ক’রতে হয়। জীবনের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা
শি’শুদের আত্মবিশ্বা’স বাড়ায়। সাহস বাড়ায়। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, দিনের পর দিন একইরকম গতানুগতিক জীবন আলস্য, স্থবিরতা ডেকে আনে। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ প্রতিকুলতার সাথে শি’শুর খাপ খাওয়ানোর ক্ষ’মতা বাড়ায়।
২. তাদের প্রতিভা এবং আগ্রহকে উৎসাহিত করাঃ খেলাধুলো হোক বা সঙ্গীত হোক বা নাটকের ক্লাস, এসব নিয়ে আপনার শি’শুর আগ্রহ থাকলে অল্প বয়স থেকে সুযোগ দিতে হবে। তাহলেই প্রতিভা বিকাশের সম্ভাবনা বাড়বে।তবে ‘কিছু হওয়ার জন্য’ তাদের ওপর চা’প তৈরি করা হিতে বিপরীত হবে। সে যা নয়, তা বানানোর চেষ্টা করলে ক্ষ’তি ছাড়া লাভ হবেনা।
৩. বাচ্চার বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আবেগের চাহি’দাকে সাহায্য ক’রতে হবেঃ সমস্ত শিক্ষার মূলে রয়েছে জা’নার আগ্রহ, জিজ্ঞাসা। স্কুল শুরুর আগেই শি’শুরা অনেক প্রশ্ন করে। ধৈর্য না হারিয়ে সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া জরুরী। তাদের বুদ্ধি বিকাশের জন্য এটা খুবই গু’রুত্ব পূর্ণ। শি’শু যত “কেন” এবং “কীভাবে” প্রশ্ন তুলবে, স্কুলে তার সাফল্যের সম্ভাবনা ততই বাড়বে।
৪. জা’না বা শেখার চেষ্টার প্রশংসা করুন, তার ক্ষ’মতাকে নয়ঃ শি’শুর শিক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়াকে বেশী প্রশংসা করুন, ফলাফলকে ততটা করবেন । নতুন কোনো ভাষা শেখার জন্য তার চেষ্টা, এমনকি সাইকেল চালানোর জন্য তার চেষ্টা – এসবকে উৎসাহিত ক’রুণ। জা’নার চেষ্টা, শেখার চেষ্টা খুবই গু’রুত্ব পূর্ণ। শেখার উৎসাহই পরবর্তী জীবনে তাকে সাফল্যের দরজায় নিয়ে যাবে।
৫. ব্য’র্থতা ভীতিকর কিছু নয়ঃ শি’শুর ভুলগুলোকে তার শিক্ষার অংশ হিসাবে দে’খতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণকে একটি সুযোগ হিসাবে দে’খতে হবে। ভুল করলে বাচ্চাদের ভবিষ্যতে সঙ্কট মো’কাবেলার ক্ষ’মতা বাড়ে। অস্বা’ভাবিক মনে রাখার ক্ষ’মতা দেখলে বুঝবেন অপনার বাচ্চা হয়তো প্রতিভাধ’র।
৬. কোনো লেবেল বা তকমা নয়ঃ কোনো লেবেল বা তকমা সেটে দিলে আপনার বাচ্চা অন্যদের থেকে বি’চ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। ভবিষ্যতে কোনো ব্য’র্থতার ভয়ে সারাজীবন সে কুঁকড়ে থাততে পারে।
৭. শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগঃ প্রতিভাবান শি’শুরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ চায়।তাদের নিজে’র গতিতে শিখতে চায়। চলতি শিক্ষা ব্যব’স্থার মাঝে তাদের সেই বিশেষ চাহি’দা পূরণে বাবা-মাকে শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত প’রামর্শ ক’রতে হবে।
৮. শি’শুর সক্ষ’মতা যাচাই বাড়তি চা’প দেওয়ার জন্য স্কুলের সাথে দেন-দরবার করার আগে আপনার শি’শুর শা’রীরিক-মা’নসিক সক্ষ’মতা স’স্পর্কে পরি’ষ্কার ধারনা নিতে হবে। আপনার শি’শুর অনেক অজা’না স’মস্যা থাকতে পারে। যেমন ডিজলেক্সিয়া, তার মনোযোগের ঘাটতি থাকতে পারে, তার হাইপার-অ্যাকটিভিটি বা অতিমাত্রায় চঞ্চলতার স’মস্যা থাকতে পারে।
কিন্তু কীভাবে আপনির বুঝবেন আপনার বাচ্চা প্রতিভাধ’র? কিছু ই’ঙ্গিত:– মনে রাখার অস্বা’ভাবিক ক্ষ’মতা -খুব অল্প বয়সে পড়তে শেখা -অস্বা’ভাবিক কিছু আগ্রহ, শখ অথবা বিশেষ কিছু বিষয়ে গ’ভীর জ্ঞান -বিশ্বের চলমান ঘ’টনাবলী স’স্পর্কে ধারণা-সবসময় প্রশ্ন করা -উচ্চমানের রসিকতা বোধ -সঙ্গীত নিয়ে আগ্রহ – নি’য়ন্ত্রণ নেওয়ার আগ্রহ – খেলার সময় নতুন এবং অতিরি’ক্ত নিয়মকানুন তৈরির ক্ষ’মতা।