য়ের পর স্বামী-স্ত্রী ইচ্ছা করলে একে অপরের সঙ্গে মিলিত হতে পারবে। এতে ইসলামের কোনো বাঁধা নেই। কেননা বিয়ের মাধ্যমে তারা উভয়ে একে অপরের জন্য হালাল হয়েছেন। তবে উভয়ে নতুন হওয়াতে তাদের মাঝে জড়তা কিংবা দ্বিধা থাকতে পারে। সে কারণে পারস্পরিক ভালোবাসাপূর্ণ ভাববিনিময়ের মাধ্যমে উভয়কেই স্বাভাবিক হতে হবে। তবে ইসলামী আদব হচ্ছে কোন মুসলিম তার স্ত্রীর সঙ্গে সহ’বাস করার পূর্বে নিম্নোক্ত বাক্যটি পড়বে-
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺟَﻨِّﺒْﻨَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ، ﻭَﺟَﻨِّﺐْ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻣَﺎ ﺭَﺯَﻗْﺘَﻨَﺎ
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তানা ওয়া জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাক্বতানা।’ (বুখারি, মুসলিম)
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আমাদের উভয়কে শয়তানের হাত (কুনজর-আক্রমণ) থেকে রক্ষা করুন। আমাদের (এ মি’ল’নে) যদি কোনো সন্তান দান করেন তাকেও শয়তানের হাত (কুনজর-আক্রমণ) থেকে রক্ষা করুন।’ [সহিহ বুখারী, ফাতহুল বারি হাদিস নং ১৩৮]
এই দোয়াটি পড়ার উপকার হচ্ছে- যদি এই সহ’বাসের মাধ্যমে আল্লাহ কোনো সন্তান দান করেন তাহলে শয়তান তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
উল্লেখ্য যে, নব দম্পতির প্রথম দেখায় এ দোয়াগুলো ছাড়াও তারা নিজেদের দাম্পত্য জীবনের কল্যাণ ও বরকত কামনায় মহান রবের কাছে মন খুলে দোয়অ করতে পারেন। উভয়ে এক সঙ্গে কিংবা আলাদা দোয়া করতে পারেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহ সব নব দম্পতিকে জীবনের প্রথম রাত কিংবা দিনের বাসর সময়ে উল্লেখিত নিয়মগুলো যথাযথ মেনে চলার মাধ্যমে পরবর্তী জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে বরকত ও কল্যাণের দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।