দৈনন্দিন জীবনে যাঁদের থিম সং ‘একলা চলো রে’, তাঁদের পরিস্থিতি কিন্তু বেশ উদ্বেগজনক। একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকরা বলছেন, সুস্থ থাকতে ও বেশিদিন বাঁচতে স্বাভাবিক যৌ”ন জীবনের কোনও বিকল্প নেই।
ভাল খাবার, পরিবেশের পাশাপাশি স্বাভাবিক ও নিয়মিত যৌ”নতা”ও মানবদেহের একেবারে প্রাথমিক চাহিদার মধ্যে পড়ে। বেশ কয়েক সপ্তাহ বা মাস যাঁরা স”ঙ্গ”মে লিপ্ত হননি, সেই সব প্রাপ্তবয়স্কদের কিন্তু বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সেগুলি এই প্রতিবেদনে সাজিয়ে দেওয়া হল-
১. স্মৃতির সরণি বেয়ে খানিকটা পিছনে চলে যান পুরুষ ও মহিলারা। তাঁদের মনে পড়ে যায়, শেষবার মি”ল”নের অভিজ্ঞতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন মি”লি”ত না হলে প্রত্যেকের মনে পুরনো স্মৃতি এসে ভিড় করে। এক্ষেত্রে মহিলারা খানিকটা ইমোশনাল হয়ে পড়েন, অন্যদিকে পুরুষরা মনে মনে খানিকটা রেগেই যান।
২. দ্বিতীয় পয়েন্টটি বেশ বিপজ্জনক। গবেষকরা বলছেন, একসময় নিয়মিত মি”লি”ত হতেন, অথচ এখন কাজের চাপে হতে পারছেন না, এমন ব্যক্তিদের মনে অবসাদ জমা হয়। পুরুষদের এই সমস্যাটা বেশি হয়। কারণ, তাঁদের মনে অধিকাংশ সময়ই নানা সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি ঘুরপাক খায়। এই সময় কোনও পার্টি, গেট টুগেদারে গিয়ে অন্য কোনও দম্পতিকে চোখের সামনে ঘ”নিষ্ঠ হতে দেখলে, সেটাও সহ্য করতে পারা যায় না।
৩. বেশ কয়েকদিন স”ঙ্গ”মে লিপ্ত হতে না পারলে মনে মনে অন্য স”ঙ্গী বা স”ঙ্গিনীর খোঁজ শুরু হয়ে যায়। বিশেষত, আজকের ব্যস্ত জীবনে যে দম্পতিরা একসঙ্গে বেশিক্ষণ সময় কাটাতে পারেন না, তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি উঁকি মারে। অ”নলাইন ডেটিং অ্যাপস, পর্ন সাইটে ঢুঁ মারার মাত্র বেড়ে যায়। এমনকী, কখনও কখনও এ”ক্স বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডকে ফোন করে ফেলতেও ইচ্ছা করে।
৪. এভাবেও বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর অবসাদগ্রস্ত মন পরিস্থিতিকে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়। মন ও শরীর থেকে যৌ”ন চেতনা একটু একটু করে কমতে থাকে। এই প্রবণতা কিন্তু বেশ বিপজ্জনক। অনেকেই এই সময় ভাগ্যের উপর নিজেকে ছেড়ে দেন, বিশেষত মহিলারা। তাঁরা মনে করতে শুরু করেন, আজ না হোক কাল নিশ্চয় তাঁর মনের মানুষ আসবেন। ততদিন অন্য কাজে মনকে ব্যস্ত রাখলে বোধহয় স্বস্তি মিলবে।
৫. সবশেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি বলি। কারও জীবন কখনও একখাতে বয় না। খরস্রোতা নদীও একদিন পথ হারায়, আবার শুষ্ক মরুভূমিতে মরুদ্যানের দেখা মেলে। আজ না হোক কাল, প্রত্যেকের জীবনেই সুখের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার রাজপুত্তুর বা কন্যার দেখা মিলবে। সেই বিশেষ দিনটির জন্য অপেক্ষা করুন, আর সেই দিনটি চলে এলে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে একটুও দেরি করবেন না যেন!