সময়ের সঙ্গে কালের নিয়মে বয়স বাড়ে যেকোন মানুষের। আর এই কালযাপনের ছাপ পড়ে শরীরে, চুলে, ত্বকে। বার্ধক্যের ছাপ নিয়ে কম-বেশি আমরা সকলেই চিন্তিত। আসলে অতীতের সরল সৌন্দর্য ধরে রাখতে কে না চায়! যদিও তা চিরস্থায়ী করা সম্ভব নয়।
তবে একটু চেষ্টা করলে রুখে দেওয়া সম্ভব অকালবার্ধক্য। অনেক সময় জীবনযাপনের পদ্ধতি, পরিবেশ দূষণ, অনিদ্রা ইত্যাদি নানা কারণে ত্বকে কালো দাগ, বলিরেখা, শুষ্কতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিন্তু এসবের ক্ষেত্রে দারুন ফল দিতে পারে নাভির যত্ন। অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে পারে পাশাপাশি সৌন্দর্যও ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে। আসলে আয়ুর্বেদ অনুযায়ী নাভি হলো শরীরের কেন্দ্রবিন্দু।
সারা শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে এর যোগ। তাই সৌন্দর্যসংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসাতেও নাভি ব্যবহার করা যেতে পারে। দেখে নেয়া যাক এক নজরে —
বার্ধক্য ঠেকাতে: অকালবার্ধক্য রুখে দিতে পারে গোলাপ জল। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টিএজিং বৈশিষ্ট্য। নাভিতে কয়েক ফোঁটা অর্গানিক গোলাপ জল দিলে অকালবার্ধক্য রোধ করা সম্ভব।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা: এর জন্য খাঁটি বাদাম তেল গরম করে নাভিতে লাগানো যেতে পারে প্রতিদিন। বাদাম তেলের ফ্যাটি অ্যাসিড নিস্তেজ ও শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসা করতে পারে।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য: এর জন্য খাঁটি ঘিয়ের ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাঁটি ও অর্গানিক ঘি গরম করে নাভিতে কয়েক ফোঁটা লাগিয়ে নিতে হবে। ঘিয়ের অ্যান্টিএজিং বৈশিষ্ট্যের কারণেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না।
ব্রণর সমস্যা: ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে নিম তেলের অ্যান্টি-অ্যাকনে উপাদান। এটি ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে পারে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা নিম তেল নাভির চারদিকে মালিশ করতে হবে।
ফাটা ঠোঁটের সমস্যা: এমনিতেই ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় নারকেল তেল লাগানো হয়। কিন্তু সেই নারকেল তেল গরম করে যদি নাভিতে ঢালা যায় তাহলে আরো নরম হতে পারে ঠোঁট।
সূত্র: নিউজ বাংলা ১৮