২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভালো যায়নি মাশরাফির, তখন থেকেই তাকে ঘিরে নানা সমালোচনা। মাশরাফি কবে অবসর নেবেন, সেই প্রশ্নও উঠেছিল।
অথচ ওই বিশ্বকাপ বাদে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ দলের সেরা পেসার তিনিই। বিশ্বকাপের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে গুঞ্জন উঠেছিল- এটিই মাশরাফির শেষ সিরিজ।
কিন্তু তিনি অবসরের ঘোষণা না দিয়ে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। পাশাপাশি ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের দুই পরিচালকই নাকি মাশরাফিকে ভিলেন বানাতে গণমাধ্যমকে ফোন করেন ঐ বিশ্বকাপের সময়।
যেহেতু মাশরাফির বিশ্বকাপ ভালো যায়নি। সেই সুযোগে মাশরাফিকে দল থেকে বাদ দিতেই তারা এমন কান্ড করেছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মাশরাফি জানান। যদিও তাদের নাম ও গণমাধ্যমকে সামনে আনেননি দেশ সেরা এই অধিনায়ক।
মাশরাফি বলেন, “আমার যতটা খারাপ লেগেছে, ক্রিকেটে যদি কোনোদিন কষ্ট পেয়ে থাকি, এই একটা জিনিসে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি। তখন আমি বুঝেছি, অন্যান্য ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে কত কী হয়েছে বা হতে পারে কিংবা হয়। আগে আমি কোনোদিন বিশ্বাস করিনি। করতে চাইওনি।”
“কিন্তু আমি যখন জানতে পারলাম… যেসব মিডিয়ায় ফোন করেছে, ইংল্যান্ডে বসে (বিশ্বকাপের সময়) আমাদের বোর্ড পরিচালকদের দুজনের তথ্য আমি জানি, কোনো কোনো (টিভি) চ্যানেলে ফোন করে তারা বলেছেন, ‘এটিই সুযোগ, আমাদের সামনে সুযোগ আসছে। মানুষের সামনে মাশরাফিকে কালার করে দেন, ভিলেন বানিয়ে দেন’।” – যোগ করেন তিনি।
মাশরাফি আরও বলেন, “খারাপ খেলার কারণে ভিলেন তো এমনিতে হয়েই আছি। তখন তো ক্রিকেট বোর্ড আমার পাশে দাঁড়াবে! পাশে দাঁড়িয়েও তো সুন্দরভাবে বাদ দেওয়া যেত আমাকে। এটা ভাবতে পারত যে ছেলেটা অন্তত কিছু না কিছু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য।
দর্শক অনেক কিছু বুঝবে না, মিডিয়া অনেক কিছু জানবে না যে ভেতরে কত ইতিহাস, কত গল্প আছে।” “আমি উনাদের নাম বলব না, দুজনের নামই জানি। আরও আছে কিনা আল্লাহ জানেন। তারা বিভিন্ন মিডিয়ায় ফোন করে বলেছেন, “সুযোগ আসছে, মাশরাফিকে নিয়ে নিউজ করে দেন। বাদ দিয়ে দেবে।”– আরও যোগ করেন নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত এই ক্রিকেটার।