আমাশয় খুব প্রচলিত একটি রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে আমাশয় রোগে ভুগছেন। কোনো কিছুতেই পরিত্রাণ পাচ্ছেন না। অথচ আমাদের চারপাশে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যার মাধ্যমে এটা সহজেই দূর করা সম্ভব। আসুন জেনেই নিই সে বিষয়ে:
বাংলাদেশে গ্রাম গঞ্জে বেত গাছ দেখা যায়। বেতে ফুল ধরার আগে গাছ থেকে একধরনের মিষ্টি ঘ্রাণ আসে। তখন মৌমাছি, পিঁপড়া, মাছি এই রস খেতে বেত গাছে ভিড় জমায়। বেত গাছ বাংলাদেশ, ভুটান, থাইল্যান্ডসহ বেশ কিছু অঞ্চলে বেশি জন্মে। বেত ফল ও মূল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বেত ফলের মধ্যে প্রোটিন, পটাসিয়াম এবং পেকটিন থাকে। পাশাপাশি থায়ামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি জাতীয় পুষ্টি থাকে বেতের ফলগুলোতে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং ট্যানিন জাতীয় যৌগগুলোও বেশি থাকে। যা আমাশয় রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যাদের পুরনো আমাশয় আছে তারা এই বেত গাছের শাঁস নিয়মিত খেতে পারেন। এতে করে চিরতরে আমাশয় সেরে যাবে। এছাড়াও আরও অনেক রোগের দাওয়ায় হিসেবে বেত ফল খুবই উপকারী। সেগুলোও নিচে দেয়া হলো-
শুক্রাণু বৃদ্ধি ঘটায় : যাদের শুক্রাণু পাতলা তারা বেত গাছের মূল চূর্ণ্ করে ঘিয়ে ভেজে নিয়ে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে খেতে পারলে শুক্রাণু বৃদ্ধি অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
দাঁতের গোড়া শক্ত করতে : প্রথমে বেত গাছের মূল সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর এই সিদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।
যাবতীয় রোগ নিরাময়ে : বেত গাছের মূলের ক্বাথ সেবন করলে মূত্র সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ নিরাময় হয়।পিত্তথলির সমস্যা দূর করতে : বেত ফলের রস চিনির সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে পিত্তথলির যাবতীয় সমস্যা সেরে যায়।