দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে এক রাতের মধ্যেই মাটি ফেটে মাজারের আবির্ভাব হয়েছে বলে এক বাড়ির মালিক দাবি করেছেন। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাজার দেখতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। তবে স্থানীয়দের অনেকের দাবি, যে বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটেছে সে কবিরাজি করে বলে প্রচারের উদ্দেশ্যেই এমন খবর রটিয়ে থাকতে পারেন।
হিলির জালালপুর গ্রামে রবিউলের বাড়িতে শুক্রবার সকালে মাজার আবির্ভাবের এই ঘটনা ঘটে। এক রাতের মধ্যেই এমনটি হয়েছে দাবি বাড়ির মালিকের। তিনি দাবি করেন, রাতে ওই স্থানে কিছু না থাকলেও সকালে ঘুম থেকে উঠে মাজার দেখতে পান ওই বাড়ির সদস্যরা। পরে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন ওই বাড়িতে।
মাজার দেখতে আসা স্থানীয় সিদ্দিক ও রুবেল বলেন, আমরা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জানতে পারি আমাদের পাড়াতে নাকি এক রাতেই একটি মাজার বের হয়েছে। এই কথা শুনে দেখতে এসেছি। সেখানে গিয়ে আমরা দেখেছি- কবরের মতো মাজার সদৃশ একটি স্থাপনা।
ওই বাড়ির মালিক রবিউলের মা রোকেয়া বেগম বলেন, প্রথম থেকেই এই স্থানে কেউ বাড়ি ঘর করতে পারেনি, একবার এক সাঁওতাল বাড়ি করেও সেটি ভেঙে দিয়েছে। দীর্ঘদিন পরে আমরা সেই স্থানে নির্ভয়ে বাড়ি ঘর করেছি। এর পর থেকে বাড়ির ছেলে মেয়েদের নানা ধরনের সমস্যা হতে থাকে। এর মাঝে বাড়ির বাউন্ডারি দেওয়ার জন্য ইটের প্রাচীর তুলতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। ভোররাতে সেহেরি খেয়ে শোয়ার সময় সেখানে কোন কিছু ছিল না,
সকালে উঠে দেখি এ রকম হয়ে আছে। ঠিক কবরের মতো মাটি উঁচু হয়ে আছে, এর ওপরে আশেক বাবুর মাজার লেখা রয়েছে, ১টি এক টাকার কয়েন রয়েছে সেখানে। পরে আমরা সেটি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দিই। এটি জানার পর থেকেই মানুষজন দেখতে ভিড় জমাচ্ছে।
হিলির জালালপুর ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিনহাজুল ইসলাম বলেন, একরাতেই মাজারের আবির্ভাবের খবরটি সকালে আমার কানে এসেছে। সকাল থেকেই অনেক মানুষ সেটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। তবে যে বাড়িতে ওই ঘটনাটি ঘটেছে সেই বাড়ির গৃহবধূ আগে থেকেই কবিরাজি করত, হয়তো বা বাড়তি সুবিধার কারণে এমন কোন কিছুর সৃষ্টি করতে পারে সে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।