এই ৮টি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে কিনা

কীভাবে বুঝবেন আপনার দেহে প্রোটিনের ঘটতি রয়ে যাচ্ছে? একটু নজর করলেই ধরে ফেলতে পারবেন বেশ ভালো করে। কারণ কয়েকটি লক্ষণ দেখে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে। আসুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে বুঝবেন শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে।

১.আপনি অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে থাকবেন
প্রোটিনের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে দেহের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। যখন এর ঘাটতি পড়বে আপনার দেহে তখন আপনার মস্তিষ্কে সিগন্যাল যাবে চিনি জাতীয় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে। আর প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশিই মিষ্টি খাবার খুঁজবেন আপনি।

২.ওজন কমাতে পারছেন না
ওজন কমানো মানে খাবার কমিয়ে দেয়া না। আর প্রোটিন তো একদমই না। শরীরের চর্বি কমানোর জন্য নিয়মিত প্রোটিন গ্রহণের বিকল্প নেই। প্রোটিন যদি কম খান, তাহলে আপনি যতোই শরীরচর্চা অথবা ডায়েট করেন না কেন, ওজন কমাতে পারবেন না। ওজন হ্রাস করতে চাইলে হাই প্রোটিন খাদ্য তালিকার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

৩.হারাচ্ছেন সাধের চুল
সকাল বেলায় মাথায় হাত বুলাতে গিয়ে খেয়াল করছেন হাতের সাথে এক গোছা চুল বেরিয়ে আসছে। এরকম লক্ষণ দেখলে ধরেই নিন আপনি প্রোটিন স্বল্পতায় ভুগছেন। প্রোটিন চুলের একটি অপরিহার্য উপাদান। লম্বা এবং শক্তিশালী চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন খুবই আবশ্যক। সুতরাং যখন এই অপরিহার্য ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের অভাব ঘটে আপনার চুল দুর্বল হয়ে যায়, ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়।

৪.পা ফেটে যায়
প্রোটিন আপনার রক্তকণিকাগুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত লবণ এবং জল ধরে রাখতে সাহায্য করে। যদি প্রোটিন স্বল্পতা থাকে তাহলে ফ্লুইড পার্শ্ববর্তী টিস্যুগুলোতে ঢুকে যায়। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিকেশনের বরাতে জানা যায়, এ কারণেই প্রোটিন স্বল্পতার জন্য অনেকের পা ফেটে যায়।

৫.অ্যানিমিয়া
অ্যানিমিয়া এমন একটি রোগ যেখানে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে লাল রক্ত কণিকা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। প্রোটিনের অভাব হলে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রোটিন ঘাটতি ভিটামিন বি 1২ এর পরিমাণও হ্রাস করতে পারে যা আবার রক্তচাপের ভারসাম্যে সমস্যা তৈরি করে, শরীরকে ক্লান্ত করে।

৬.ঘা শুকোতে দেরি
যদি কোনও জায়গা কেটে যায় বা আঘাত পান তাহলে প্রোটিনের অভাবের কারণে সেটি সহজে সেরে যাবে না। প্রোটিনের অভাবের কারণে পেশীগুলির মেরামতিও সঠিকভাবে হয় না।

৭.অল্পেই ঠান্ডা লেগে যাওয়া
প্রোটিন আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি অ্যান্টিবডি নির্মাণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্কমতা বাড়ানোর সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত।। সুতরাং যখন প্রোটিনে র ঘাটতি হয় তখন ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

৮.ওজন কমাতে পারছেন না
ওজন কমানো মানে খাবার কমিয়ে দেয়া না। আর প্রোটিন তো একদমই না। শরীরের চর্বি কমানোর জন্য নিয়মিত প্রোটিন গ্রহণের বিকল্প নেই। প্রোটিন যদি কম খান, তাহলে আপনি যতোই শরীরচর্চা অথবা ডায়েট করেন না কেন, ওজন কমাতে পারবেন না। ওজন হ্রাস করতে চাইলে হাই প্রোটিন খাদ্য তালিকার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

About reviewbd

Check Also

খাওয়ার পর বেল্ট ঢিলা করলেই বিপদ

দুপুরে ভাত খাওয়া ছাড়া বেশিরভাগ বাঙালির চলেই না! কিন্তু ভাত খাওয়ার পরে কয়েকটি কাজ করলে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *