আজ তিনি সফলতার শীর্ষে, কিছুদিন আগে ছিলেন চরম দুশ্চিন্তায়! তবে মায়ের করা ভবিষ্যৎবাণী বিফলে যায়নি। কথা হচ্ছিল শামস আফরোজ চৌধুরীকে নিয়ে, তবে ‘থটস অব শামস’ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে অতি পরিচিত মুখ।
শামসের তৈরি ভিডিও কনটেন্টে লাখ লাখ ভিউ, শেয়ার হাজারে হাজারে। সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে শামস জানান, তার ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল ও বিভিন্ন কোম্পানির প্রমোশনাল স্পন্সর ফি বাবদ মাসে সাত থেকে আট লাখ টাকা আয় হয়। কোনো কোনো মাসে সেটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত উর্ত্তীর্ণ হয়।
গতকাল বুধবার শামস তার এই সাফল্যের গল্প শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। পোস্টটি তুলে ধরা হলো:
২০১৮ সালে যখন আমি ‘থটস অব শামস’ পেজটি খুলি বিশ্বাস করেন আমি স্বপ্নেও ভাবিনি এই পেজ আমার জীবন বদলে দিবে। ২০২০ সালে আমি আফসোস করছিলাম যে আম্মুর কথায় চাকরি ছেড়ে দেওয়া কি ঠিক হলো। আপনি ভাবতে পারে আমার মা একজন জিনিয়াস তিনি যা বলেন তাই সত্য হয়!
এখনো মনে পড়ে আমার… ২০২০ সালে যখন প্রথন লকডাউন শুরু হয়, ডাইনিং টেবিলে বসে চা খাচ্ছিলাম আমি আর আম্মু। আমি বলছিলাম, আম্মু চাকরি মোটেই পাওয়া যায় না, আর এই পাওয়া চাকরি আমি ছেড়ে দিলাম!
আম্মু: তুমি এমন করো কেন? তোমার এর চেয়ে ভাল কিছু হবে, শুধু শুধু এই ফালতু চাকরি করে কষ্ট করতেছিলা। আরাম করো, চাকরি না করলে কী না খেয়ে মরে যাবা? তোমার কিসের এত টেনশন! আমার মন বলতেছে তোমার অনেক ভাল কিছু হবে।
আমি: আম্মু কি যে বল! কী ভাল হবে আমার? চাকরি না করেও আমি থাকতে পারি ঠিক কিন্তু আমি সত্যি নিজের পরিচয় গড়তে করতে চাই। নিজের যোগ্যতায় কিছু একটা করতে চাই।
আম্মু: অনেক ভালই হবে তোমার সাথে, এখন চা খা! এবং আরাম কর, খা দা ঘুমা। চারিদিকে করোনাম আগে জীবন বাঁচাও, তোমার জীবনের চেয়ে চাকরি বেশি গুরুত্বপূর্ণ না আমার কাছে। দেখবা এমন ভাল কিছুই হবে তোমার সঙ্গে যা তুমি চিন্তাও করতে পার নাই।
আমি: আমার যে কী ভাল হবে তা তো বুঝতেছি। কীভাবে পারো মা আন্দাজে এভাবে বলতে?
এরপর শামস লিখেন, আমি সত্যি ভুল ছিলাম, মা-ই ঠিক এবং আমার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পুরোপুরিভাবে ঠিক আন্দাজ করেছে।
ইতোমধ্যে শামসের ফেসবুক পাতায় ২০ লাখ ফলোয়ারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে সেইসঙ্গে তার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে।
সামনে আরও সুন্দর ও মজাদার কনটেন্ট আসছে বলে জানান শামস। একইসঙ্গে পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।