বড়ই অদ্ভুত বিশ্বের মানুষ। অদ্ভুত তাদের চাওয়া-পাওয়া, তাদের শখ। আর তার চেয়ে বেশি অদ্ভুত প্রকৃতি। তাই কখনো প্রকৃতির খেয়ালে অথবা মানুষের অদ্ভুত শখের কারণে ব্যতিক্রম সব ঘটনার জন্ম হয়।
আর এই সব ঘটনা এতোটাই ব্যতিক্রম যা দ্বিতীয় কোনো মানুষের পক্ষে দ্বিতীয় বার জন্ম দেওয়া সাহস হয় না। ফলে এগুলোর রেকর্ড হয়ে থাকে বছরের পর বছর।
আজ জানাবো তেমনই এক নারীর কথা। যিনি বিশ্বের সবচেয়ে ফ্লেক্সিবল বা নমনীয় নারী জালাটা বিনোদন জগতে বেশ জনপ্রিয়। তবে জালাটা নামে জনপ্রিয় হলেও তার আসল নাম জুলিয়া গুনথেল।
নিজেকে যখন যেভাবে ইচ্ছে ভাঁজ করে নিতে পারেন, প্রয়োজনে নিজেকে ভাঁজ করে একটি ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়েও দিতে পারেন তিনি। কনটর্শনিস্ট অথবা বিভঙ্গ বিনোদন হিসেবেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন জালাটা।
তার জন্ম কাজাকাস্তানে। তবে কাজাকাস্তানে হলেও জীবনের বেশির ভাগ সময় জার্মানিতেই কাটিয়েছেন। তার বয়স ৩৭ বছর। মাত্র ৪ বছর বয়সেই তার শরীরের বিস্ময়কর নমনীয়তা আবিষ্কার করেন স্কুলের শিক্ষিকা। এরপর ৮ বছর বয়সে সার্কাস স্কুলে যোগ দেন জলাটা।
১০ বছর বয়স থেকেই পেশাদার কনটর্শনিস্ট হয়ে ওঠেন তিনি। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত বিভঙ্গ বিনোদনই তার পেশা। তার শরীরের নমনীয়তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ডিসকভারি টিভি সিরিজও। যেখানে একটি এমআরআই মেশিনে তাকে ঢুকিয়ে চিকিত্সকরা দেখছেন তার শরীরের লিগামেন্ট শিশুদের মতো নমনীয়।
পারফর্মিং আর্ট, মডেলিং, অভিনয়, ম্যাগাজিন শুট করেন জালাটা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে স্টেজ শোও করেন নমনীয় এই জালাটা নামের নারী। এর মধ্যেই বহু গিনিজ বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছেন।
সবথেকে কম সময়ে নিজের শরীরের বিভঙ্গের চাপে ৩টি বেলুন ফাটিয়ে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন জলাটা। অভিনয় করেছেন হোলি মোটরস ছবিতেও। আগামী দিনে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে নিতে চান জালাটা।