সমুদ্র কিংবা নদীর জোয়ার-ভাটা চাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষ করে আমবস্যায় টের পাওয়া যায়। এসময় অন্যান্য চেয়ে ঢেউ অনেক বেশি জোরদার হয় এবং সমুদ্রতলে অত্যধিক জলস্ফীতি ঘটে। তাহলে ভাবুন, চাঁদ যদি তার অবস্থান পরিবর্তন করে, তাহলে কী ঘটবে?
নাসার এক নতুন গবেষণা অনুসারে, ২০৩০ সালের মধ্যে আমেরিকা-সহ বিশ্বে অনেক জায়গায় নিউইসান্স বন্যা দেখা দেবে। উচ্চ জোয়ারের ফলে সৃষ্ট বন্যাকে নিউইসান্স বন্যা বলা হয়।
নাসা এখন সতর্ক করেছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে নিউইসান্স বন্যা অনেক বেড়ে যাবে। প্রতি মাসেই এই ধরনের বন্যার কবলে পড়বে বিশ্ব। কারণ যখনই চাঁদের কক্ষপথে সামান্য পরিবর্তন হবে তখনই এই বন্যা আরও ক্ষতিকারক হয়ে উঠবে।
জাতীয় মহাসাগর ও বায়ুমণ্ডলীয় অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক নতুন সমীক্ষা অনুসারে, চাঁদ যদি তার কক্ষপথের অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করে, তবে এটি পৃথিবীর উপকূলীয় অনেক অঞ্চলকে প্লাবিত করবে। কারণ চাঁদ ১৮.৬ বছরে তার জায়গায় সামান্য পরিবর্তন করে। এই সময়ের মধ্যে অর্ধেক সময়, চাঁদ পৃথিবীর ঢেউকে দমন করে। তবে অর্ধেক চক্রের পর চাঁদ তরঙ্গকে তীব্র করে তোলে। তাদের উচ্চতা বৃদ্ধি করে, যা বিপজ্জনক।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি চাঁদ কিছুটা অবস্থান পরিবর্তন করে তবে সারাবিশ্বে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেবে। এমন সময়ে, সমুদ্রের তরঙ্গগুলো তাদের গড় উচ্চতা থেকে ২ ফুট বেশি উত্থিত হবে। যার ফলে অনেক উঁচু শহরেও পানি ঢুকবে।
বিষয়গুলো কিন্তু হেলাফেলা করার মতো নয়। আমেরিকাতে উচ্চ জোয়ারের কারণে ২০১৯ সালে ৬০০ বার বন্যা হয়েছিল। সূত্র: লাইভ সায়েন্স