গ্রামজুড়ে রয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর, জমিতে রয়েছে বিভিন্ন ফসল। গ্রামের পুকুরগুলোতেও রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। তবে মাইলের পর মাইল হাঁটলেও এই গ্রামে চোখে পড়বেনা কোনো জনমানব। অবাক শোনালেও এমনই একটি গ্রাম রয়েছে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায়।
বিভিন্ন ভুতের গল্পে আমরা যেসব জনমানবহীন গ্রামের গল্প শুনে থাকি এই গ্রামটি যেনো তারই প্রতিচ্ছবি। ঝিনাইদহ শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে কোটচাঁদপুর উপজেলার এলান্দি ইউনিয়নে অবস্থিত এই গ্রামটির নাম মঙ্গলপুর। প্রায় ৮০ বছর যাবৎ এই গ্রামে কোনো জনবসতি নেই।
পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, প্রায় শতবছর আগে এই গ্রামটিও আর পাঁচটা গ্রামের মত ছিলো। কিন্তু হঠাৎ গ্রামটিতে কলপরা আর গুটি বসন্তের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে গ্রামটিতে অশুভ শক্তি ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরই একে একে সবাই গ্রাম ছাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ মিঠু ঠাকুর নামে এক ব্যক্তি এই গ্রামে ছিলো। কিন্তু তাকেও দূর্বৃত্তরা হত্যা করায় গ্রামটি পুরোপুরি জনশূন্য হয়ে পড়ে।
এদিকে দীর্ঘদিন পরে এই গ্রামে আবারও জনবসতি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি গ্রামটিতে ৭ টি মুজিববর্ষের উপহারস্বরূপ দেয়া ঘর নির্মাণ করা হয়েছে সাতটি ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রয় দেয়ার উদ্দেশ্যে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকও।