প্রথম যেদিন বিয়ের বাদ্য বেজেছিল, বরের বয়স ছিল ৫২, কনের ২৬। বয়সের ব্যবধান ২৬ বছর। এ নিয়ে নেটমাধ্যমে কত কটাক্ষ। সেসব ঝক্কি সামলে দুরন্ত গতিতে তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী উদযাপন। সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হলেও আসলে এটাই বাস্তব।
বলা হচ্ছে, ভারতের অভিনেতা-সুপারমডেল মিলিন্দ সোমান ও তাঁর স্ত্রী অঙ্কিতা কোনোয়ারের কথা। রীতিবিরুদ্ধ সুখী দম্পতি তাঁরা। বয়সের ব্যবধানকে থোড়াই কেয়ার করেছেন। এর জন্য কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি। দেখতে দেখতে তিন বছর সংসারযাপন হলো তাঁদের।
ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড বাবলের প্রতিবেদন, এ যুগল তিন স্থানে তিন বার বিয়ে করেছেন। প্রথম বার মুম্বাইয়ের আলিবাগে, পরের বার স্পেনের এক জলপ্রপাতে স্বপ্নীল আয়োজনে আর তৃতীয় বার বিয়ে করেছিলেন ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্তে’, সঙ্গে ছিল ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের লোকজন। গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) এ দম্পতি তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেন।
যদিও সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় সুপারমডেল মিলিন্দ সোমান বলেছেন, দুজনই বিবাহপ্রথায় তেমন আগ্রহী নন, তবু তাঁদের বিবাহিত জীবন দারুণ কাটছে। বিয়ে করে সুখেই আছেন।
শেষতক মিলিন্দ সোমান বলেছেন, ‘আমি চাইনি। সাত বছর আগে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। প্রথম দেখার দিনেই আমরা অবশ্য বিয়ে নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমরা বিয়ে করতে চাইনি। চার বছর ডেটিংয়ের পর আমরা উপলব্ধি করলাম, এটা ভালো আইডিয়া, যেহেতু আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই। ওর মা-বাবা পরের ধাপে এগোনোর জন্য মুখিয়ে ছিলেন। এ সিদ্ধান্ত নিতে পেরে আমি খুশি।’
গতকাল সামাজিক মাধ্যমে দুজনই অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। আর অঙ্কিতা তো ইনস্টাগ্রামে স্বামীর উদ্দেশে বলেছেনই, ‘প্রতিটি দিনই রোমাঞ্চকর, কিছু একটার নতুন বার্ষিকী এবং আরেকটি ভালোবাসা দিবস তোমার সঙ্গে।’
সেখানেই থামেননি অঙ্কিতা। বলেছেন, তিন বছর আগের জাদুকরি বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা। স্পেনের জলপ্রপাতের সেই স্মৃতিও রোমন্থন করেছেন। মিলিন্দ সোমানকে তাঁর আবেগভরা উক্তি, ‘আমার পৃথিবীর জল তুমি। জল ছাড়া কি পৃথিবী টেকে?’ মিলিন্দ সোমান ছাড়াও অঙ্কিতা নয়!
প্রকাশ্যে অঙ্কিতাকে তৃতীয় বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি মিলিন্দ সোমান। ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে তিনি স্ত্রীর উদ্দেশে লিখেছেন—প্রতিটি মুহূর্ত, অঙ্কিতার প্রতি মুহূর্তের পাগলামি তিনি মিস করেন।
মিলিন্দ সোমানের ফিটনেস সম্পর্কে অবগত ভারতের বিনোদন ও ক্রীড়া অঙ্গন। ভ্রমণপিপাসু তিনি। ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। আর মাঝেমধ্যে সামাজিক পাতায় সেই ভ্রমণের সঙ্গী অঙ্কিতাকেও দেখেন অন্তর্জালবাসী। আর তাই তো শুভ তৃতীয় বিবাহবার্ষিকীর দিনে ইতিবাচক মন্তব্যে ভরিয়েছেন যুগলের হৃদয়কে।