সাবলীলভাবেই সে দিন বোট ক্লাবে প্রবেশ করেছিলেন পরীমণি। গাড়ি থেকে বের হয়ে রিসিপশন পেরিয়ে সোজা ক্লাবের ভেতরে ঢুকেছিলেন। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক পরই তড়িঘড়ি করে তাকে অ’জ্ঞান অবস্থায় বের করা হয়। বোট ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজে এমনটাই দেখা যায়। ওই দিন এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হন পরী। ক্লাবে ধ’র্ষণ ও হ’ত্যাচেষ্টার অ’ভিযোগ এনে থা’নায় মা’মলা করেন এই অ’ভিনেত্রী।
প্রধান আ’সামি নাসির ইউ আহমেদকে গ্রে’ফতারের পর নেয়া হয় রি’মান্ডে। ২৯ জুন জামিনে বের হয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পরীমণিকে দোষী সাব্যস্ত করেন তিনি। কিন্তু পরী কথার খেলা খেলতে চান না। এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন। বলেছেন ভ’য়ঙ্কর সেই অ’ভিজ্ঞতার কথা। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আলমগীর কবির
সম্প্রতি অনেক বড় একটি দুর্ঘ’টনার মুখোমুখি হয়েছিলেন, এখন আপনি কেমন আছেন?
চারদিকে যে হারে করো’না সংক্রমণ বাড়ছে তার মধ্যে তো চাইলেও ভালো থাকা যায় না। প্রতিনিয়ত আতঙ্ক কাজ করে। আর আমি যে ভ’য়াবহ দুর্ঘ’টনার মুখোমুখি হয়েছিলাম, সে কথা চিন্তা করলে ভ’য়ে শিহরিত হই। এই অবস্থা কতটা ভ’য়ঙ্কর সেটা কেবল একজন মে’য়েই বলতে পারবে। সবচেয়ে খা’রাপ লাগে যখন কেউ ঘটনা না জেনে মন্তব্য করে বসে। এতে করে আম’রা না বুঝে অন্যের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলি।
এতে ভিকটিমের ক্ষত আরো গাঢ় হয়। অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে নিজেকে লুকিয়ে রাখার পথ খোঁজা শুরু হয়। সবার ভালোবাসায় এই জায়গাটায় আমি এখনো শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
ওই ঘটনার পর আপনার কাছে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয় কী’ মনে হচ্ছে?
ন্যায়বিচার পাওয়াটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ অ’ভিযোগকারী শুধু একজন পরীমণি নয়, নির্যাতিত সব নারী। আমি যে ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলাম অনেক নারীর সাথেই এরকমটা ঘটে। নিজের সামাজিক অবস্থান ও পারিপার্শ্বিক নানা কারণে এসব বিষয়ে মুখ খুলতে চান না তারা।
অনেকে ক’ষ্ট বুকে চাপা রেখে আত্মহ’ত্যা করেন। আমি আত্মহ’ত্যায় বিশ্বা’সী নই। অন্যায়ের বি’রুদ্ধে ল’ড়তে চাই। তার জন্যই এই প্রতিবাদ। আজকে আমি যদি ন্যায়বিচার পাই, অ’প’রাধীর দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি হয়, ভবিষ্যতে সব নির্যাতিত নারী প্রতিবাদ করতে সাহস পাবেন। তারা আমা’র ঘটনাকে উদাহ’রণ হিসেবে নিতে পারবেন।