ঢাকাই ছবির নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বনানী থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মামলাটি করে র্যাব। মামলায় পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার বনানীর বাসা থেকে পরীমনি বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, এলএসডি, আইস ও বিভিন্ন প্রকার মাদকসহ আটক হন। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার দেখায় র্যাব।
পরীমনি এমন দুদর্শায় দেখা মেলেনি নাট্টনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর। এ নাট্টনির্মাতাকে নিজের ‘মা’ বলে সম্বোধন করে থাকেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। বিভিন্ন সময় তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখাও গেছে। পরীমনির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সবসময় পাশে ছিলেন এই নির্মাতা। বিশেষ করে গত মাসে উত্তরা বোটক্লাব কাণ্ডে সর্বদা পাশে থেকে পরীমনিকে সাহস জুগিয়েছিলেন চয়নিকা।
কিন্তু বুধবার পরীমনির বাসায় র্যাবের অভিযান থেকে শুরু করে গ্রেপ্তারের সময় পর্যন্ত একেবারেই অদৃশ্য চয়নিকা চৌধুরী।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ছুড়েছেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে চর্চাও হচ্ছে। চয়নিকা কোথায় সে প্রশ্ন দেখা গেছে অনেকের টাইমলাইনে।
অবশেষে পরীমনিকাণ্ডে মুখ খুললেন চয়নিকা চৌধুরী। এক গণমাধ্যমকে মুঠোফোনে তিনি জানালেন, পরীমনির ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনো ধারণা ছিল না তার। এ নিয়ে কোনো আলাপও হয়নি পরীমনির সঙ্গে।
চয়নিকা বলেন, ‘পরীমনির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই। তার সঙ্গে যে সব আলাপ হতো তার সবই কাজভিত্তিক। তুমি কেমন আছ, তুমি খেয়েছ কি না, তোমার শরীর কেমন, আমাদের এই নাটকটি কেমন হয়েছে – এসব বিষয়ে সব সময় কথা হয়েছে। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে পরীমনি আমার সঙ্গে কোনোদিনই আলাপ করেনি। আর আমিও যেচে পড়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাইনি। জানতেও চাইনি।’
গ্রেফতার পরীমনির আইনি লড়াইয়ে তিনি পাশে থাকবেন কি না সাংবাদিকের সেই প্রশ্নে বিষয়টি এড়িয়ে যান এই নাট্যনির্মাতা।
এদিকে চয়নিকা চৌধুরীর ওয়েব ফিল্ম ‘অন্তরালে’র সঙ্গে সম্প্রতিই চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পরীমনি। এর শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু পরীমনি আটক হওয়ায় তা এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
সে হিসেবে পরীমনির গ্রেফতারে বিপাকেই পড়েছেন এ নাট্যনির্মাতা।
এ বিষয়ে চয়নিকা বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমাদের সম্মান আছে। ঘটনাটি মাত্রই ঘটল। এখন কিছু বলা ঠিক না৷ আমরা অপেক্ষা করব কিছুদিন৷ অবস্থা বোঝে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও টিমের সঙ্গে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’