বাঁচেনি কেউ, মানুষ-পশু সবাই পাথর হয়ে গিয়েছিল এই শহরের

সুন্দর গুছানো একটি শহর। মাত্র হাজার খানেক মানুষের বাস ছিল তাতে। তবে হঠাৎ করেই এক দুর্যোগ নেমে এসেছিল সেই শহরটিতে। সেই দুর্যোগে শেষ হয়ে গিয়েছিল পুরো শহরই। শুধু পড়েছিল সেই শহরে বাস করা মূর্তিগুলোই।

বলছি ইতালির পম্পেই শহরের কথা। প্রায় ১৯৪০ বছর আগে এই শহরে এমন একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যার জেরে শহরটি ধূলিসাৎ হয়ে যায়।

এই জায়গা থেকে বৈজ্ঞানিকরা এমন কিছু প্রমাণ পেয়েছে যার ভিত্তিতে বলা হয় সেই সময় একটা মানুষও বাঁচতে পারেনি। এই শহর প্রায় ৭০ একর জমির ওপর ছড়িয়ে ছিল। এই শহরের গুহা দেখে অনুমান করা হয় যে শহরটিতে প্রায় ১১ থেকে ১৫ হাজার লোক বসবাস করত। কয়েক বছর আগে এই এলাকায় একটি ঘোড়ার দেহের অংশ পাওয়া গিয়েছে।

যে অংশটি সম্পূর্ণভাবে পাথরের হয়ে গিয়েছে। এমন অনেক পাথরের অংশ এই এলাকা থেকে প্রায়শই উদ্ধার হয়ে থাকে। উদ্ধার হওয়া এই অংশগুলোদেখে মনে হয় যেন, তাদের মধ্যে কোনোদিনই প্রাণ ছিল না, এগুলো কোনো পাথরের মূর্তি। কিন্তু এই পাথরের মূর্তিগুলোর পেছনের সত্য ঘটনা মানুষ জানতে পেরে ভয়ে আঁতকে ওঠে।

পম্পেইয়ের কাছে নেপাল্সের খাড়িতে একটি আগ্নেয়গিরি আছে। যার নাম মাউন্ট বিউবিয়াস। অনেক বছর আগে হঠাৎ এই আগ্নেয়গিরিটি ফেটে যায়। যার ফলে ভারী মাত্রায় লাভা এবং বিভিন্ন ধরনের জৈব পদার্থ বের হয়। যার ফলে বড় মাপের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

পম্পেই শহরের বাসিন্দারা শহর ছেড়ে পালানোর আগেই এই আগ্নেয়গিরির লাভা এসে শহরটিকে তছনছ করে দেয়। এই কারণেই এই এলাকা এতটাই গরম হয়ে যায় যার জেরে মানুষের রক্ত ফুটন্ত হয়ে পড়ে এবং মাথার ঘিলু ফেটে যায়। এই জৈব পদার্থের সম্পর্কে আসার ফলে এই শহরের বাসিন্দাদের ভয়াবহ মৃত্যু হয়। পরবর্তী সময়ে তাপমাত্রা নেমে যাওয়ার ফলে লাভা শক্ত হয়ে যায়। যার কারণেই মানুষের শরীরে পাথরের হয়ে যায়।

About reviewbd

Check Also

লতা-পাতা নয়, চা-সিগারেট খাচ্ছে ছাগল, ভাইরাল ভিডিও

প্রায় ৩০০ প্রজাতিরও বেশি ছাগল রয়েছে। এটা গৃহপালিত প্রাচীনতম প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে একটি, প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *